দিনাজপুরের বিরামপুর রেল স্টেশনের ভেতরে ও আশপাশের রেলের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবারও অবৈধ দখলদারদের কবলে চলে যাচ্ছে। ফলে ভেস্তে যাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অবৈধ দখলদাররা দীর্ঘদিন ধরে বিরামপুর রেলওয়ের জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে বিভিন্ন পণ্যের পসরা ও নানা ধরনের দোকান বসিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে। নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিরামপুর রেলওয়ের প্লাটর্ফমসহ আশপাশে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট গড়ে উঠেছে। রেলওয়ে প্লাটর্ফমসহ আশপাশের অবৈধ স্থাপনা দখলদারদের সঙ্গে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত আছে কিনা এমন প্রশ্ন তুলেছে অনেকে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহ আলম বিশ্বাস বলেন, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ লক্ষ্য করছেন বিরামপুর রেল স্টেশনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজ চলছে। পাশাপাশি উচ্ছেদ ও হচ্ছে, আবার পরবর্তীতে কি এক অজানা কারণে তারা আবার পুনর্বাসিত হচ্ছে, এটি অত্যান্ত দুঃখের বিষয়। যাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে তারা কার ইঙ্গিতে কার ইশারায় আবার পুর্নবহাল হচ্ছে। এসব হলে আমাদের সৌন্দর্য্যরে অন্তরায় হবে। এসব যেন না হয়, এজন্য তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রিক্সাচালক বলেন, প্লাটফর্মের আশপাশে যেসব দোকানপাট আছে এগুলোর জন্য আমরা ঠিকমত যাতায়ত করতে পারিনা। এসব দোকানপাটের সঠিক ব্যবস্থা না করতে পারলে আমরা তো ভালোমত ভাড়া মারতে পারবো না। আমি একজন রিক্সাচালক আমাদের খুবই কষ্ট হয়। আমরা স্টেশনের উপরে যাত্রীদের ব্যাগ ও জিনিসপত্র নিতে গেলে স্টেশনের কর্মচারীরা ও স্টেশন মাস্টার আমাকে দূর দূর করে তারিয়ে দেয় ব্যাগ আনতে দেয় না।
বিরামপুর রেলস্টশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার দীপক চন্দ্র রায় বলেন, এসব বিষয়ে আমার সঠিক জানা নেই, আমাদের বড় স্যার রফিক চৌধুরী তিনি এসব বিষয় দেখা শোনা করেন। যারা এসব দোকানপাট দিয়েছেন তারা হয়তো, স্যারের সঙ্গে কথা বলে দোকাপাট বসিয়েছেন।
পার্বতীপুর-বিরামপুর স্টেশন মাস্টার মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্টেশনের আশপাশে যেসকল স্থাপনাগুলো পুনরায় অবৈধভাবে গড়ে উঠছে, সেগুলো উচ্ছেদের জন্য লিখিতভাবে পার্বতীপুর জিএরপি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এআই