আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একই সঙ্গে পূর্বে দেওয়া বিদ্বেষমূলক বক্তব্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
গণহত্যা মামলার তদন্তে নির্দেশ
এর আগে ১৮ নভেম্বর, ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি গণহত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রসিকিউশনের দাবি, জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে চলমান আন্দোলনের সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংযোগ রয়েছে।
বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগ
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যগুলো নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। প্রসিকিউশন জানায়, তার এসব বক্তব্য সমাজে বিদ্বেষ ও উত্তেজনা ছড়ানোর কারণ হতে পারে। তাই এই বক্তব্যগুলো প্রচার বন্ধ করতেই ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করা হয়েছিল।
গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট
গণঅভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দেড়শোরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে গুম, হত্যা, এবং গণহত্যার মতো গুরুতর অপরাধ। বর্তমানে গ্রেপ্তার আছেন সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ মোট ২৫ জন। এছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসএফ