২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ২০২৫ শুরু হচ্ছে ০১ জানুয়ারি। চতুর্থবারের মতো রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) বাণিজ্যমেলা স্থায়ী ভবনে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল ১০টায় মেলা প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন।
দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য বরাবরের ন্যায় এবারও বিআরটিসি বাস রাখা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বাস সার্ভিস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। রাস্তার ২ পাশে সারাদিন এ বাস চলাচল করবে। এখানে সম্ভবত ভাড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা হবে ১৪ কিলোমিটার রাস্তার জন্য। শুক্র ও শনিবার চাহিদা অনুযায়ী বাস দেওয়া হবে।
বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, মেলা আয়োজনে কিছু চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। সেসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা মেলার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আমাদের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি চলতি মাস শেষেই আমাদের প্রস্তুতি শেষ করতে পারবো। উন্নত বিশ্বে যেভাবে মেলা আয়োজন করা হয়, এ বছর আমরা সেরকম করার চেষ্টা করছি। মেলাকেন্দ্রের ভেতরে সেল স্ক্রিন দিয়ে আন্তর্জাতিক মেলাগুলোর মতো ছোট ছোট স্টলগুলোর সীমানা দিয়ে দেওয়া হবে। ভেতরে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মতো করে প্রয়োজন অনুযায়ী ডেকোরেশন করবে।
আরও জানা গেছে, এবছর মেলায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। যেহেতু একটা নতুন সরকার এসেছে। তারা চায় দর্শনার্থীরা নিরাপদে নির্ভয়ে মেলা পরিদর্শন করতে পারে। এজন্য পুলিশ, র্যাবসহ এবছর সেনাবাহিনীর সদস্যরাও থাকবে মেলার সার্বিক নিরাপত্তায়। এনিয়ে আগামী সপ্তাহে একটি বৈঠক হবে সেখানে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ফলে আশা করছি অন্য যেকোনো বছরের থেকে এবছরের বাণিজ্যমেলা আরও বেশি নিরাপদ থাকবে। এছাড়া মেলা প্রাঙ্গণে মোবাইল কোর্ট থাকবে। মেলা প্রাঙ্গণের আশপাশের এলাকাগুলো হকারমুক্ত করতে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও র্যাব কাজ করবে।
এছাড়া মেলাকেন্দ্রে বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রয়েছে। দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে। তবে মেলার শৃঙ্খলার স্বার্থে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানেই এক হাজার গাড়ি পার্কিং হবে। ১৫শ’ গাড়ির বেশি একই সঙ্গে থাকে না। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিং করার সুযোগ আছে।
প্রসঙ্গত, দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলা করা যায়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলা চলে যায় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার চতুর্থবারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
এইচএ