ভারতের শেষ উইকেটের পতন হতেই উল্লাসে ফেটে পড়লো পুরো বাংলাদেশ দল। ডাগআউট থেকে তীরের ভঙ্গিতে ছুটলেন সবাই। মিশন সম্পন্ন। বাংলাদেশ জিতে গেছে। অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ট্রফি বাংলাদেশের ছিল।
বাংলাদেশেরই রইলো। টানা দুই মৌসুম এই শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। ফাইনালে লড়াইটা জমাতেই পারলো না শক্তিশালী ভারত। বাংলাদেশের ১৯৮ রানের জবাবে গুটিয়ে গেল তারা মাত্র ১৩৯ রানে। বাংলাদেশ জিতলো ৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে সংগ্রহ বড় হয়নি দলের। ৫ বল থাকতে ১৯৮ রানে অলআউট হয় নাভিদ নেওয়াজের দল।
বাংলাদেশ যুবা দলের হয়ে ওপেনার জাওয়াদ আবরার ২০ রান করেন। তিনে নামা অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। চারে নামা মোহাম্মদ শিহাব জেমস খেলেন ৪০ রানের ইনিংস। পাঁচে নামা রিজান হোসেন সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন। উইকেটরক্ষক ফরিদ হাসান ৩৭ রান যোগ করেন।
জবাবে ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে গেছে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ৪৪ রানে তাদের ৩ উইকেট নিয়ে শুরুতে চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশ। সেখান থেকে চারে নামা কার্তিককেয়া ও পাঁচে নামা অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান জুটি গড়ার সম্ভাবনা জাগান। বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন এক ওভারে পরপর দুই উইকেট নিয়ে ওই জুটি ভেঙে দেন।
ভারত আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। ৯২ রানে ৭ উইকেট হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত দেড়শ’ রানের আগে ধসে গেছে। ভারতের হয়ে তিনে নামা আন্দ্রে সিদ্ধার্ত ২০ রান করেন। চারে নেমে কার্তিকেয়া ২১ রান যোগ করেন। অধিনায়ক আমান খেলেন ২৬ রানের ইনিংস। শেষ দিকে হার্ডিক রাজ ২৪ রান যোগা করেন।
বাংলাদেশ যুবা দলের হয়ে ইকবাল হোসাইন ইমন ৭ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। অধিনায়ক তামিম ১৪ বল করে মাত্র ৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। শেষের ধস তিনিই নামান। ভারতের হয়ে যুদ্ধজিৎ গুহা, চেতন শর্মা ও হার্ডিক রাজ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।