এইমাত্র
  • সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৫ মন্ত্রণালয়ের নথি পুড়ে গেছে: আসিফ মাহমুদ
  • সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে জাহাজ বিকল, আটকা ৭১ যাত্রী
  • ভাঙছে ইন্ডিয়া জোট!
  • স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে চট্টগ্রামে উড়োজাহাজ জব্দ
  • ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সু-সংবাদ দিলো সৌদি আরব
  • ভোলায় মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু
  • সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার
  • কনস্টাসকে ধাক্কা দিয়ে সাসপেন্ড হতে পারেন কোহলি
  • সাকিবের দেশে ফিরতে না পারাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন সুজন
  • কুর্দি যোদ্ধাদের কবর রচনার হুঁশিয়ারি এরদোগানের
  • আজ শুক্রবার, ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন নির্মাণের খবর নেই, দুর্ভোগ যাত্রীদের

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম
    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম

    দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন নির্মাণের খবর নেই, দুর্ভোগ যাত্রীদের

    আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পিএম

    ১৯১৯ সালে স্থাপিত দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন দেশের প্রাচীনতম একটি রেলস্টেশন। এক সময় এই রেলস্টেশনটি ছিল উত্তর অঞ্চলের ৮টি জেলার সঙ্গে রেলপথের সংযোগস্থল। এই স্টেশনের উপর দিয়েই যাতায়াত করতো উত্তরাঞ্চলের সব রেল যাত্রীরা। ২০০৭ সালে বাহাদুরাবাদ ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেলে ২০০৮ সালে উত্তর অঞ্চলের সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আস্তে আস্তে স্টেশনটির লোকশূন্য হয়ে পড়ে, বর্তমানে এই রেলপথে আন্তঃনগর তিস্তা ব্রহ্মপুত্রসহ সহ ৫টি ট্রেন চলাচল করে। দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ,গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী রাজিবপুরের লোকজন এই স্টেশন দিয়ে রেলপথে ঢাকায় যাতায়াত করে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা তথা এই অঞ্চলে বাসের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সবাই ট্রেনে চলাচল করতে স্বাচ্ছন্দ এবং নিরাপদ বোধ করে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই ষ্টেশন হয়ে ঢাকায় যায়।

    নতুন স্টেশন নির্মাণের অজুহাতে ২০২১ সালে স্টেশনের মূলভবন ভেঙে ফেলা হয়। স্টেশন ভেঙে ফেলার ৩ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নকশা জটিলতায় কাজ থেমে আছে। পূর্বের যেই ডিজাইনে স্টেশন নির্মাণ হবার কথা ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টেশন ভেঙে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। নতুন নকশা অনুমোদন হলে টেন্ডারে যাবে এর আগে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেননি।

    বর্তমানে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে অস্থায়ীভাবে নির্মিত টিনের ছাপড়া ঘরেই চলছে স্টেশনের যাবতীয় কার্যক্রম। ছোট ছাপড়া ঘরে স্টেশন মাস্টার, সহকারী স্টেশন মাস্টার, সংরক্ষিত অফিস, টিকিট কাউন্টার বুকিং অফিসের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পড়ে অনেক মূল্যাবান অফিসিয়াল জিনিসপত্র বিনষ্ট হয়ে গেছে। শীতকালে কুয়াশার পানি ঝড়ে অফিসিয়াল কাজের বিঘ্ন ঘটছে। যাত্রীদের জন্য কোনো বিশ্রামাগার ও টয়লেট নেই। দুটি অন্তঃনগর ট্রেন সহ কয়েকটি লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রির লাখ লাখ টাকা সহ হাজার হাজার মূল্যাবান টিকিট অরক্ষিত অবস্থায় সেই টিনের ঘরে রাখা হয়। যে কোন সময় চুরি ডাকাতি সংঘটিত হতে পারে। টিকিট বিক্রির সমুদয় টাকা ৩/৪ দিন পর পর জামালপুরের হেড বুকিং অফিসে প্রেরণ করা হয়। এই সময়ের মাঝে সব টাকা পয়সা এখানেই থাকে।

    ট্রেনের যাত্রী চিকাজানীর বাসিন্দা মুজিবুল হক শামিম জানান, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাকে গত ১৫ বছরে পরিকল্পিতভাবে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এই স্টেশনটি দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে নির্মাণের কোন খবর নাই, এটা কোন দেশে বাস করছি আমরা। নতুন স্টেশনের নির্মাণ করবে বলে পুরাতনটা ভেঙে ফেলা হলো এখন আর নতুন টাও নাই পুরাতন টাও নাই। আমাদের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, টয়লেট নেই, বিশ্রামাগার নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার সোহেল আক্ষেপ করে বলেন, আগের যে জরাজীর্ণ ভবনটি ছিল সেটাতে তবুও কাজ চালানো যেত এখন আমরা উদ্বাস্ত হয়ে গেছি। বিগত সরকারের আমলে দায়িত্বশীল মন্ত্রী এমপিরা এখানে এসে কথা দিয়ে গিয়েছিল কিন্ত তারা কোন কথা রাখেনি। তারা আশ্বাস দিয়েছিল দুই বছরের ভেতর বিশ্বমানের একটি রেলস্টেশন হবে এখানে। কিন্ত ৩ বছর পাড় হয়ে গেছে এখনো কোন কাজের অগ্রগতি নেই। দেওয়ানগঞ্জের জন্য আলাদা একটি ট্রেন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল সেটারও বাস্তবায়ন হয়নি। ১৫ বছর দেওয়ানগঞ্জবাসীকে শুধু ধোকা দেওয়া হয়েছে।

    দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন আক্ষেপ করে বলেন, স্টেশনটি নির্মাণের খবর নাই। তার আগে ভবন ভেঙে ফেলে রেখেছে। ৩ বছর ধরে বহু কষ্টে স্টেশন পরিচালনা করে আসছি। স্টেশনটি বড় একটি রেলস্টেশন এখানে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ সামগ্রী রয়েছে। ট্রেনের টিকিট বিক্রির লাখ লাখ টাকা অরক্ষিত অবস্থায় রাখা হয়। ঝড় বৃষ্টি এবং চৈত্র মাসের প্রচণ্ড রোদে কাজ করতে নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রেল স্টেশনটি নির্মাণের দাবি জানান।

    রেলওয়ে জামালপুরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সেই স্টেশনের আগের ডিজাইন বাতিল করে অন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ডিজাইন পাশ হলে টেন্ডারে হবে এরপর কাজ শুরু হবে। নতুন ভবন নির্মাণের আগে কয়েক বছর যাবত পুরনো ভবন ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে কেন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। তিনি জানান সে সময় তিনি দায়িত্বে ছিলেন না।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…