নোয়াখালীর সদর উপজেলায় কালাদরাপ ইউনিয়নের চুলডগিতে বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি ঘিরে একটি কুকুরের ঘেউ ঘেউ করতে থাকার সূত্র ধরেই সেখানে থেকে রবিন হোসেন (১৬) নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের চুলডগি এলাকার জামালের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. রবিন হোসেন (১৬) একই ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের রাজহরিতালুক গ্রামের মাকু মিয়া সওদাগর বাড়ির মো.ইউনূসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিন পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। সে তার সৎমা রুনা আক্তারের সাথে একই বাড়িতে বসবাস করত। নভেম্বর মাসে তার বাবা ঢাকা যাওয়ার সময় নিজের অটোরিকশা ছেলেকে চালাতে দিয়ে যান। এরপর গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ডিবি রোড থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ হন রবিন। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যার দিকে একই গ্রামের জুয়েল (২৬) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন লোককে স্থানীয়রা তার সাথে মোবাইল নিয়ে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন।
এ বিষয়ে জুয়েলকে রবিনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে এলোমেলো কথাবার্তা বলে। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে জুয়েলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে, নিখোঁজের ঘটনার ৬দিন পর সোমবার সকালে সেফটি টাংকি ঘিরে একটি কুকুরের সন্দেহজনক ঘেউ ঘেউ শব্দে স্থানীয় লোকজন বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির ঢাকনা খুললে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের সৎমা ৫ ডিসেম্বর প্রথমে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে পুলিশ ভিকটিমকে না পেয়ে সেটিকে অপহরণ মামলা হিসেবে রুজু করে। এর পর পরই ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরে দুজনকে আটক করা করা হয়। তারা ভিকটিমের মোবাইল ব্যবহার করছিল। আজ সেফটি ট্যাংকির ভেতর থেকে রবিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেয়া হয় বলে প্রতিমান হয়।
এআই