প্রেম মানে না কোন বাধা' এই জন্যই মনে হয়, চণ্ডীদাস প্রতিদিন মাছ ধরার ছলে বড়শি নিয়ে এপারে বসে থাকতেন তার প্রিয় মানুষটাকে দেখতে। এভাবেই দিন-মাস পেরিয়ে বছর চলতে চলতে ১২ বছর কেটে যায় নিরবে। পরকীয়ার টানে রাতের আঁধারে দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে দেখা করতে এসে হাতে ধরা খেলেন প্রবাসী এক যুবক।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী ওই প্রেমিক আলমগীর উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম বাসুলী মরিয়ম বাজার শাহপাড়া এলাকার সাদ্দারুল কবিরাজের ছেলে।
অপরদিকে, পরকীয়া প্রেমিকা খোরশেদ মারজান খুশি গোবিন্দপুর মাদারডাঙ্গা গ্রামের হান্নারের স্ত্রী ও বাসুলী গ্রামের খলিল মাস্টারের মেয়ে।
জানা গেছে, আলমগীর সাথে তার পাশের গ্রামের খুশির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেখানেও দেখা করতে গেলে মেয়ের পরিবার তাদের সম্পর্কের বিষয় জানতে পারে। পরে এক রাতেই অন্য জায়গায় খুশিকে বিয়ে দেয় তার পরিবার। কথা ছিল ৬ সন্তানের জননী হলেও বিয়ে করবে আলমগীর। দূরত্ব বেড়ে গেলেও যোগাযোগ বন্ধ হয়নি তাদের। ৭ বছরে ২ সন্তানের জননী হয় সেই প্রেমিকা খুশি কিন্তু সময়ের ব্যবধানে কর্মজীবনে আলমগীর বিদেশে যায়। দীর্ঘদিন পর বাসায় আসলে হঠাৎ দেখা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় সেই যুবক।
আরো জানা গেছে, আলমগীর তার পরকীয়া প্রেমিকা খুশির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে আলমগীরকে আটকে রাখে। এমতাবস্থায় ওই প্রেমিকের কাছ থেকে আলোকঝাড়ি ইউপির সদস্য আশরাফুল ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন।
আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বোনের বাসায় যাওয়ার পথে আমাকে রাস্তায় আটক করে। আমি আদৌ তার সঙ্গে দেখা করতে আসিনি। এছাড়াও খুশির সঙ্গে আমার কোন যোগাযোগ নাই।
এ বিষয়ে খুশির কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তবে খুশির স্বামী হান্নান বলেন, আমরা মেম্বারকে দায়িত্ব দিয়েছি। মেম্বার যা করবে আমরা তাই মেনে নিব।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আশরাফুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এইচএ