সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস বিদ্রোহীদের দখলে। রবিবার সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন আসাদ। কিন্তু তাঁর গন্তব্য জানা যাচ্ছিল না। সোমবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানাল, আসাদ মস্কোয় গিয়েছেন।
এদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, মানবিক জায়গা থেকে আসাদকে আশ্রয় দিয়েছে রাশিয়া। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অভিযানে আচমকা ক্ষমতা হারানো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ পালিয়ে রাশিয়ায় গিয়েছেন; যাকে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছে তার দীর্ঘদিনের মিত্র দেশটি।
রাশিয়ার রাষ্ট্র্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ‘আরআইএ নভোস্তি’কে উদ্ধৃত করে রোববার বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, আসাদের সঙ্গে তার পরিবারও মস্কোতে আশ্রয় পেয়েছেন।
ক্রেমলিনের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ‘আরআইএ নভোস্তি’র খবরে বলা হয়, “মানবিকতার জায়গা থেকে আসাদ ও তার পরিবারকে রাশিয়ায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে কূটনীতিকদের বরাতে রয়টার্স লিখেছে, সশস্ত্র বিদ্রোহের পর সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
ক্ষমতা ছেড়ে পালানোর পরই আসাদের সম্ভাব্য গন্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। প্রথম দিকে খবর বেরোয়, বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢোকার সময়ই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে আসাদ সিরিয়া ছাড়েন।
সিরিয়া সরকারের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, আসাদ রোববার সকালে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দামেস্ক ছেড়েছেন।
পরে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আসাদ এখন সম্ভবত দেশের বাইরে।” কিন্তু আসাদ কোথায় থাকতে পারেন তা তিনি জানাননি।
তবে সিরিয়া ছাড়ার পর ইরান কিংবা রাশিয়ায় যাওয়া ছাড়া আসাদের বিকল্প নেই বলেও ধারণা করা হচ্ছিল।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখলের কয়েকঘন্টা পরই বাশার আল-আসাদের মিত্র রাশিয়া জানায়, তিনি পদত্যাগ করে সিরিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। তখন এর চেয়ে আর বেশিকিছু জানায়নি রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এবি