এইমাত্র
  • সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৫ মন্ত্রণালয়ের নথি পুড়ে গেছে: আসিফ মাহমুদ
  • সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে জাহাজ বিকল, আটকা ৭১ যাত্রী
  • ভাঙছে ইন্ডিয়া জোট!
  • স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে চট্টগ্রামে উড়োজাহাজ জব্দ
  • ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সু-সংবাদ দিলো সৌদি আরব
  • ভোলায় মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু
  • সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার
  • কনস্টাসকে ধাক্কা দিয়ে সাসপেন্ড হতে পারেন কোহলি
  • সাকিবের দেশে ফিরতে না পারাকে ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন সুজন
  • কুর্দি যোদ্ধাদের কবর রচনার হুঁশিয়ারি এরদোগানের
  • আজ শুক্রবার, ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ‘শাহাদাতের নজরানা পেশ করে ছাত্রশিবির কার্পণ্য করে না’

    অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম
    অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

    ‘শাহাদাতের নজরানা পেশ করে ছাত্রশিবির কার্পণ্য করে না’

    অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

    বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১২০তম শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়ার ২১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৌলভীবাজার শহর শাখা।

    সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় কার্যালয়ে ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার শহর শাখার সভাপতি তারেক আজীজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী দাইয়ান আহমদের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমীর আব্দুল মান্নান।

    জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আব্দুল মান্নান বলেন, শাহাদাত ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের সর্বদা টানে। এ পথে চলার প্রতিটি মুহূর্তে তারা স্বপ্ন দেখে শহীদ হওয়ার। যেমনটি আমরা পাই আমাদের শহীদ আলমাছ ভাইদের কাছ থেকে। ওইদিন তিনি শাহাদাতের শপথ নিয়েই কলেজে গিয়েছিলেন। আল্লাহ উনাকে কবুল করে নিলেন। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় শত বাধাকে উপেক্ষা করে ছাত্রশিবির এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। শহীদের সংখ্যা যত বাড়ছে আমাদের বিজয়ের সম্ভাবনা ততোই হাতছানি দিচ্ছে। যেমনটা আমরা দেখেছি এই জুলাই বিপ্লবে, এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য এদেশের ছাত্র জনতা শাহাদাতের নজরানা পেশ করতে একটুও কার্পণ্য করেনি। ঠিক তেমনি শাহাদাতের নজরানা পেশ করতে ছাত্রশিবির কার্পণ্য করে না।

    ছাত্রশিবিরের সাবেক জেলা সভাপতি মাওলানা হারুনুর রশিদ বলেন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমকে কোনোভাবেই বাতিল শক্তি সহ্য করতে পারেনি। মৌলভীবাজারের সর্বত্র ইসলামী ছাত্রশিবিরের একক বিচরণ ছিলো। কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। এই অবস্থা দেখে তারা ইসলামী ছাত্রশিবিরকে কোনোভাবেই সহ্য করতে পারলো না। তারা বিতাড়িত করতে পারেনি। এরপর কলেজ হোস্টেলে ও ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেদিন জোহরের নামাজের সময়, আলমাছ ভাই নামাজে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখন সন্ত্রাসীরা এসে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই ঘটনাটি অত্যান্ত পরিকল্পিত। তখন ইসলামী ছাত্রশিবিরের একজন ভাইকে শহীদ করলো কিন্তু তখন আমরা দেখলাম, প্রশাসনসহ সবাই সন্ত্রাসীদের পক্ষে অবস্থান নিলো। তারা চেয়েছিলো আলমাছভাকে শহীদ করে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিন্ন করবে। কিন্তু আমরা দেখলাম এরপর থেকে দিন দিন কলেজ ক্যাম্পসে ছাত্রশিবির বাড়তে থাকলো। ইসলামী ছাত্রশিবির একটি অপ্রতিরুদ্ধ শক্তিতে পরিণত হতো। জালিমরা এরপর থেকে কোনদিন বাঁধা দিয়ে পারেনি।

    উল্লেখ্য, শহীদ মুহাম্মদ আলমাছ মিয়ার মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ মসজিদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গুলির আঘাতে শাহাদাত বরণ করেন।

    এইচএ

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…