শীতল জনপদ পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা কমার কোনো লক্ষণ নেই। যদিও গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে শীতের প্রকোপ ঠিক আগের মতোই রয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগের দিন ছিল ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না পাওয়ায় শীতের অনুভূতি তীব্রই ছিল। গতকাল সকালে কিছুটা রোদের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদও মিলিয়ে যায়।
পঞ্চগড়ে আজ ঘন কুয়াশা না থাকলেও রাতে শিশির পড়েছে এতটাই বেশি যে, অনেকের মনে হয়েছে মৃদু বৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি স্থানীয় কৃষকদের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকরা জানান, অতিরিক্ত শিশির ও ঠান্ডার কারণে বোরোর বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা থেকে চারাগাছ উৎপাদন ব্যাহত হবে, যা পুরো বোরো মৌসুমের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
শুধু বোরোর ক্ষেত নয়, আলুর ক্ষেতেও একই রকম সংকট দেখা দিয়েছে। ঠান্ডা ও শিশিরের কারণে আলুর গাছগুলোর বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক কৃষক শীত থেকে ফসল রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ক্ষেত ঢেকে রাখার চেষ্টা করছেন, তবে তা খুব বেশি কার্যকর হচ্ছে না বলে জানা গেছে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা কৃষকদের ফসল রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পঞ্চগড়ের শীতল আবহাওয়ার কারণে স্থানীয়দের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সকালে কুয়াশাচ্ছন্ন ও সূর্যালোকবিহীন আবহাওয়ার কারণে শ্রমজীবী মানুষ কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ঠান্ডার প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তাপমাত্রা বাড়া কমা করছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।