জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আর্চ্চাকান্দি গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তা ২০১৪ সালের বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়ার ১০ বছর অতিক্রম হলেও আজ পর্যন্ত পূর্ণ মেরামত তথা উন্নয়নের আচঁড় পড়েনি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উন্নয়ন বঞ্চিত অবহেলিত ওই গ্রামীন রাস্তাটি এখন ছোট বড় খানাখন্দে পরিনত হয়ে যানবাহন সহ জনচলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সাধুরপাড়া, আর্চ্চাকান্দি, গাজীরপাড়া এবং বগারচর ইউনিয়নের আলিপাড়া সহ ৭ গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসা উন্নয়ন বঞ্চিত এই কাঁচা রাস্তা। কৃষি নির্ভরশীল ওই সব গ্রামীন মানুষের আয়ের প্রধান উৎসই হচ্ছে কৃষি খ্যাত । তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজার জাত করণ সহজ করতে গ্রামীন ওই সড়ক পথের গুরুত্ব অপরিসীম। তাছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ কমপক্ষে ৭/৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ছাত্র - ছাত্রী ও পথচারীদের যাতায়াতের একমাত্র কেন্দ্র বিন্দু। বিগত ২০১৪ সালের বন্যার করাল গ্রাসে ক্ষত বিক্ষত জন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিতে বিগত দশ বছরেও উন্নয়নের কোন আচঁড় পরেনি।
গত দশ বছর ধরে বকশীগঞ্জ উপজেলা গামী আর্চ্চাকান্দি গ্রামের এলজিইডির এই কাঁচা সড়কটি পথচারীদের জন্য অভিশপ্ত। এই রাস্তার মাঝখানে বিশাল গর্ত আর খানাখন্দে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই চলাচলের চাহিদা পুরন ও দুর্ভোগ এড়াতে গ্রাম বাসীর উদ্যোগে ওই গর্তে তারা নিজেরাই তৈরি করছেন একটি বাঁশের সাঁকো। পার্টিশন হিসেবে দেয়া হয়েছে বাঁশের চাটাই এবং বাঁশের খুটি। ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচলেও রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ ওই নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই সাইকেল, মোটর বাইক, ইজিবাইক, ও ভ্যানগাড়ী যোগে হাটে বাজারে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজার জাত করনের কাজে পরিবহন ব্যবস্থা দারুণ ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ন্যায্য মুল্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। তাছাড়াও ধ্বংসপ্রায় এ রাস্তায় চলাচল করতে অনেক পথচারী একাধিকবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলেও জানা গেছে।
গাজীর পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফা গাজী অভিযোগ করে বলেন গত ১০ বছরে এই রাস্তা উন্নয়নে আমাদের কে শুধু প্রতিশ্রুতি আর শান্তনাই দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সামচুল হক জানান, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আর্চ্চাকান্দি গ্রামের এই রাস্তাটি উন্নয়নে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অগ্রাধিকার তালিকা না দেওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।
বিষয়টি এখন আমাদের সু-নজরে রয়েছে জনস্বার্থে অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এআই