কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা জুতা ব্যবসায়ীসহ দুইজন নিহত হযেছে। এসময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা আরও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাজরা-আলী আকবরী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিঞা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কুলিয়ারচর উপজেলার রামদি ইউনিয়নের জুতা ব্যবসায়ী আবু আল হেলাল (৪৯), অপরজন একই উপজেলার দাড়িয়াকান্দি এলাকার সিএনজি চালক মো. আবুল কালাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস ও ভৈরব থেকে ছেড়ে যাওয়া এটি সিএনজি চালিত অটো রিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালকসহ ২ জন নিহত হন। এসময় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় থাকা আরও তিন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত হেলালের চাচাতো ভাই আবুল কালাম বলেন, চার সন্তানের জনক আমার ভাই চট্রগ্রাম থেকে ট্রেন ভৈরব এসেছে। সকালে সিএনজি করে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিল। ঘাতক মাইক্রো চালকের খাফিলতিতে আমার ভাইসহ দুইজনকে মরতে হয়েছে। পরিবারের সাথে আমার ভাইয়ের শেষ দেখাটা হলো না।
সিএনজি চালকের ভাই বাচ্চু মিয়া বলেন, আমার ভাই ভোরে তার সিএনজি নিয়ে বের হয়েছে। অভাবের সংসার। চার ছেলে দুই মেয়ে তার। পরিবারটি আজ অসহায় হয়ে গেল। আমি ঘাতক মাইক্রোচালকের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিঞা জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এই ঘটনার পর মাইক্রোবাস চালক পালিয়ে গেলেএ মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের দাবী প্রেক্ষিতে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এআই