এইমাত্র
  • সালমান-আনিসুল-পলকসহ ৮ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
  • সোমবার সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বায়ুদূষণে ঢাকা শীর্ষ ৫ নম্বরে, আইকিউএয়ারের যে পরামর্শ
  • কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে ভারতীয় গৃহবধূ প্রেমিক নিয়ে পালিয়ে এসে বিজিবির হাতে আটক
  • যশোরে ২৪ মামলার আসামি ভাইপো রাকিবকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা
  • দীর্ঘ ৭ বছর পর বাংলাদেশি স্বামী-স্ত্রীকে ফেরত দিল ভারত
  • নিয়ন্ত্রণে মিরপুরের বাটার শো-রুমের আগুন
  • বদলে যাবে ভারতের তিন রাজ্য
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা খুলনার সুশোভন বাছাড়
  • নবীজির ঘর মোবারক দাবির বিষয়ে যা জানা গেল
  • আজ সোমবার, ৭ মাঘ, ১৪৩১ | ২০ জানুয়ারি, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    আসাদের পতনের পর সিরিয়াজুড়ে ইসরায়েলের ২৫০ বিমান হামলা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম

    আসাদের পতনের পর সিরিয়াজুড়ে ইসরায়েলের ২৫০ বিমান হামলা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পিএম

    বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি, বিশেষ করে বিমানঘাঁটিগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো রাজধানী দামেস্কসহ দেশটির বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে। রোববার থেকে ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনার ওপর প্রায় ২৫০টি হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    এদিকে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব হামলায় সেই সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যেখানে সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র মজুত আছে। জেরুজালেমের আশঙ্কা, এসব অস্ত্র শত্রুশক্তির হাতে চলে যেতে পারে। তাই আগেভাগেই হামলা চালিয়ে এসব অস্ত্রের মজুত ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

    গতকাল সোমবার দুই সিরিয়ার নিরাপত্তা সূত্র টাইমস অব জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ার অন্তত তিনটি প্রধান সামরিক বিমানঘাঁটিতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যেখানে অসংখ্য হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান ছিল। হামলাগুলো উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কামিশলি বিমানঘাঁটি, হোমসের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত শিনশার ঘাঁটি এবং রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত আকরাবা বিমানবন্দর লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে।

    এর আগে, গত রোববার ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর হামলায় সিরিয়ায় উন্নত মিসাইল মজুদকেন্দ্র, আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা এবং রাসায়নিক অস্ত্রের স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া আসাদ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত বিমান, হেলিকপ্টার এবং ট্যাংকও ধ্বংস করা হয়।

    পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রের মতে, সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ৩০০ হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত জানিয়েছে, হামলার বর্তমান গতি অব্যাহত থাকলে সিরিয়ার বিমানবাহিনী কয়েক দিনের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে। ফলে বিদ্রোহী গোষ্ঠী বা ভবিষ্যতের কোনো সরকার ইসরায়েলের জন্য আকাশপথে হুমকি হয়ে উঠতে পারবে না।

    ব্রিটেনভিত্তিক একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, সোমবার ইসরায়েল সিরিয়ায় শতাধিক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দামেস্কে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত বলে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ করা একটি গবেষণা কেন্দ্র।

    সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান এএফপিকে গতকাল সোমবার বলেন, ‘ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় শতাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে বারজাহ বৈজ্ঞানিক গবেষণাকেন্দ্রও রয়েছে। সাবেক সরকারের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে ইসরায়েলের হামলা বেড়েছে।’ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

    সোমবার সন্ধ্যায় দামেস্কের উত্তরে বারজাহ এলাকায় তিন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, সেখানে অন্তত দুটি বিস্ফোরণ হয়েছে। ওই এলাকায় সিরিয়ান সায়েন্টিফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের একটি অফিস আছে। এই সংস্থা আসাদ রেজিমের অধীনে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ আছে।

    কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় দামেস্কের দক্ষিণে কাবার এস-সিত বিমানবন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বিমানবন্দরটি হেলিকপ্টারের জন্য ব্যবহৃত হতো। এর কিছুক্ষণ আগে সিরিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করেন, ইসরায়েলি বিমানবাহিনী লাতাকিয়া বন্দরে বোমা বর্ষণ করেছে এবং তা উৎখাতকৃত সরকারের নৌবাহিনীর শক্তিমত্তাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

    সিরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল সোমবার ভোরে দারা শহরে ইসরায়েলি হামলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, হামলার পরের বিস্ফোরণে বোঝা যায় ভবনগুলোতে অস্ত্রের মজুত ছিল।

    এর আগে, গত রোববার টাইমস অব ইসরায়েলকে দেশটির এক প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, আইডিএফের ডজনখানেক যুদ্ধবিমান সিরিয়ার বহু লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ‘কৌশলগত অস্ত্র’ ধ্বংস করা। এ ছাড়া, গোলান মালভূমিতে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি বাফার জোনে নতুন অবস্থান নিয়েছে আইডিএফ, যাতে সম্ভাব্য অরাজকতার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়।

    উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের ইয়োম কিপ্পুরের যুদ্ধের পর স্বাক্ষরিত ডিসএনগেজমেন্ট চুক্তির পর এই প্রথমবার ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়া-ইসরায়েল বাফার জোনে অবস্থান নিয়েছে। যদিও অতীতে আইডিএফ অল্প সময়ের জন্য ওই জোনে প্রবেশ করেছিল।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…