বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে করা রিটের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে নিয়ম অনুযায়ী অর্থ না দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলতে থাকা ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহীন আরা লাইলীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এ রিট করেন।
রিটে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন-২০০৬ এর ১৯ ও ২০ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আইনের বিভিন্ন উপ-ধারা লঙ্ঘন করে চলেছে। এজন্য তাদের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার সম্প্রচার বন্ধ করতে সরকারের নির্দেশনা চেয়ে সৈয়দা শাহিন আরা লাইলির দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন।
এইচএ