আমতলী-কুয়াকাটা সড়কে ঘন কুয়াশার কবলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুরভী পরিবহন বাস খাদে পড়ে যায়। এতে ১ নারী নিহতসহ ৬ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই শিশু ও দুই নারী রয়েছে। বাকী দুই জন গাড়ির চালক ও হেলপার। আহত সকলকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার সময় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের তুলার মিল নামক স্হানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুরভি পরিবহন দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় একই পরিবারের দুই শিশু আহত হয় এবং শিশুদের মা ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
নিহত নারীর নাম রিমা আক্তার (৪১)। তার বাড়ী যশোর জেলায়। স্বামী একটি গার্মেন্টসে চাকুরি করার সুবাদে ঢাকার সাভারে পরিবারসহ বসবাস করতো। তিনি তাঁর স্বামী ও শিশুদের নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যাচ্ছিল।
নিহত নারীর স্বামী ও যাত্রী মামুনুর রশীদ বলেন, দুর্ঘটনার সময় তারা ঘুমে ছিলেন। হঠাৎ ঝাঁকুনিতে ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন বাসটি দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। দুর্ঘটনাটায় তাঁর স্ত্রী নিহত হলেও আড়াই বছরের ছেলে রাইয়ান এবং ৬ বছরের মেয়ে মালিহা মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। স্ত্রীর মরদেহ আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে শিশুদের নিয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি।
দুর্ঘটনাটায় অন্য আহতরা হলেন- মা ও মেয়ে আকলিমা (৪৭), সানজিদা (২৩) ও হেলপার রাজু (২৪) এবং চালক।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মাস্টার মো. হানিফ জানান ভোর রাতে কুয়াকাটাগামী সুরভী পরিবহন দূর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ১ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। একজন নারীর এই ঘটনায় স্থানেই মৃত্যু হয়।
এআই