দীর্ঘ ১০ বছেরও অধিক সময় ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমেরিকা প্রবাসী পরিবার লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কর্তৃক হেনস্তার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আমিনুর ইসলাম নামের এক আমেরিকান প্রবাসী।
রোববার(১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এসময় লিখিত বক্তব্যে দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে জমির খাজনা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন এমন তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেয় ওই প্রবাসী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কর্তৃক দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে হেনস্থার শিকার হয়ে আসছি। আমরা একই ২৫ জন সদস্য আমেরিকায় বসবাস করি।আমাদের জমি-জামার খাজনা খারিজ করার জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ধরণের টালবাহানা করা হয় হচ্ছে।
এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ জমির খাজনা পরিশাধ করতে গেলে মোটা অংকের অর্থ দাবী করে কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন সময়ে যার অর্থের পরিমাণ তিনলক্ষ টাকা। এ ধরণের চাঁদার অর্থ প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় নানা ধরণের টালবাহানা। এর কয়েক মাস পর বলা হয় ক্রয়কৃত ৭৩ শতাংশ জমি নাকি সমার্পিত।
আমেরিকা প্রবাসী তার বক্তব্যে আরো বলেন, সমার্পিত জমির কাগজপত্র বা প্রমাণাদি চাইলে প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানায় প্রশাসন। আমাদেরকে জানানো হয় বলা হয় আদালতের মাধ্যমে নিতে হবে কাগজ।
বিষয়টি নিয়ে লালমনিরহাট জেলা জজকোর্টে মামলা করা হলে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ প্রমাণাদি দিতে ব্যর্থ হয় এর ফলে আমরা রায় পাই। রায়ের কাগজপত্র তহসিলদার, এসিল্যন্ডের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা এই রায় অস্বীকৃতি জানায় এবং বলে এই রায় ভুল রায়।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী জেলা প্রশাসক এবং জেলা প্রশাসকের স্বরণাপন্ন হই। তবে শুধু আশ্বাসই পেয়ে আসছি। সর্বশেষ ৫ই আগষ্টের পর লালমনিরহাটে নতুন জেলা প্রশাসক যোগদান করলে তাকে লিখিতবাবে জানানো হলে পূর্বের মতই আশ্বাস পাই। এভাবে বিগত ১০ বছর ধরেই হেনস্তার শিকার হয়ে আসছি।
লিখিত বক্তব্য শেষে প্রবাসী আমিনুরের দাবি করেন ভূমি সংক্রান্ত কার্যাবলী সম্প্রদানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, এসিল্যান্ড অফিস, ইউনিয়ন ভূমি অফিস চাঁদাবাজের একটি সিন্ডিকেট কাজ করে। দ্রুতই ভূমি সংক্রান্ত বিষয় সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ ও ভূমি জটিলতা সমাধানে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট বন্ধে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও বক্তব্য রাখেন আমেরিকা প্রবাসী আমিনুর ইসলাম। এ-সময় প্রবাসী আমিনুরের পরিবারের সদস্য, জেলা কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এমআর