২০২৫ সালের হজের জন্য নিবন্ধনের সময় রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) শেষ হয়েছে, তবে তাতেও সাড়া মেলেনি। হজের খরচ এক লাখ টাকা কমানোর পরেও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধন করেছেন মাত্র ৫৫,৯২৫ জন হজযাত্রী, যা কোটা বরাদ্দের ৪৪ শতাংশ।
২০২৫ সালে বাংলাদেশের জন্য সৌদি সরকারের নির্ধারিত কোটা ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি, যার মধ্যে ৬২ হাজার ২১২ জন হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৪ হাজার ৭৫৯ এবং বেসরকারিভাবে ৫৭ হাজার ৪৫৩ জন নিবন্ধন করেছেন। ব্যাংকে ভাউচার জমা দিয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি হজযাত্রী, কিন্তু সৌদি সরকারের নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে আরও ৫৭ হাজার ২৮৩টি কোটা ফাঁকা রয়েছে।
বিগত সাড়ে তিন মাসে নিবন্ধনের সময়সীমা তিন দফা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয় এখন উদ্বিগ্ন, কারণ নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য যথাসময়ে টাকা সৌদি সরকারের কাছে পাঠানো অত্যন্ত জরুরি। ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা না পাঠালে বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত ৫ নম্বর তাঁবু পাওয়া যাবে না।
হজ কোটা পূরণে সাড়া না মেলায় ধর্ম মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়া কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বিমান ভাড়া ২৭ হাজার ৮২০ টাকা কমানোর জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
২০২৫ সালের হজে যেতে সরকার দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সাশ্রয়ী প্যাকেজে খরচ ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা এবং আরেকটি প্যাকেজের খরচ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কমানো হয়েছে। তবে খাবার ও কোরবানি বাবদ আলাদাভাবে অতিরিক্ত খরচ নেওয়া হবে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী বছরের ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এসএফ