কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তারকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের দাবিতে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর রাজগঞ্জ কম্পাউন্ডে কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে অত্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তারকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের দাবিতে সকাল থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শীতকালীন ছুটি বাতিল করে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নার্গিসের বিগত দশটি বছর নানা অনিয়ম করছে। অন্যায় ভাবে দায়িত্বরত থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নানা ভাবে হয়রানি করেছে। এ ছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বাঁধা সৃষ্টি করেছে। তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ করেনি।আমরা চাই জেলা প্রশাসন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করুক।
কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী বলেন, এটা কোন ছাত্রদের মব এর বিষয় নয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন প্রায় ৬মাস তদন্ত করে এবং সাবেক অধ্যক্ষ নার্গিস ২৬টির বেশি অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। ২৪ এর নতুন বাংলাদেশে একজন শিক্ষক হিসেবে এমন দূনীর্তিবাজকে প্রতিষ্ঠানে আমরা চাই না।
বাংলা বিভাগের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, দূনীর্তির পক্ষে সমর্থন ২৪ এর নতুন বাংলাদেশের অন্তরায়। আমরা শিক্ষক হিসেবে দূনীর্তির বিপক্ষে অবস্থান করছি। একজন প্রমাণিত দূনীর্তিবাজের শাস্তি, স্থায়ী বহিষ্কার এবং জেলা প্রশাসন তার দূর্নীতির চিত্র সমাজকে জানানোর দাবী করেন শিক্ষকরা। এ সময় অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয় কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ডিসি অফিসে আছি, পরে কথা বলবো।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও কালেক্টরেট স্কুলের বর্তমান অধ্যক্ষ ফাহমিদা মুস্তাফা'কে মুঠোফোনে একাধিক কল দিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, বিগত ৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পদত্যাগ করেন কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তার। পরে জেলা প্রশাসকের নিয়োগকৃত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মুস্তফা। পরে, গত ১২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবেক অধ্যক্ষ এম নার্গিস আক্তার কে পুনরায় তার কর্মস্থলে যোগদানের অনুমতি দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়৷
এমআর