২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে "বিদ্রোহ" নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছেন শহীদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি। তিনি উল্লেখ করেন, ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করার ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয় এবং এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত হানার ষড়যন্ত্রের অংশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর শহীদ পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
মেহরিম ফেরদৌসি বলেন:"এটি বিদ্রোহ ছিল না। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সেদিন সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে। লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা, পরিবারের সদস্যদের ধরে নিয়ে যাওয়া—সবকিছুই নৃশংসভাবে ঘটেছে।"
"সৎ ও তুখোড় সেনা কর্মকর্তাদের এমনভাবে হত্যা করা হয়েছে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অংশ।" "আমাদের কাছে আজও পরিষ্কার নয় কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।"
তৎকালীন বিডিআরের ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ এবং অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যরাও এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও প্রকাশ্য বিচারের দাবি জানান।
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দপ্তরে সংঘটিত এই ঘটনা সারা দেশকে স্তম্ভিত করে। বিদ্রোহের আড়ালে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, তাদের পরিবার এবং অন্যান্যদের হত্যা করা হয়।
শহীদ পরিবারের দাবি
ঘটনাটি "বিদ্রোহ" নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
প্রকাশ্য তদন্ত ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা।
হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ ও ষড়যন্ত্র উদঘাটন।