গরু বা মহিষের দুধ থেকে ঘি তৈরি হয়। ঘি মানেই বাঙালিদের ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় একটি খাদ্য। ঘি এর পুষ্টি উপাদান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখে। বিভিন্ন রান্না খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে অতুলনীয় কাজ করে ঘি। কিন্তু এটি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও।
একাধিক খাবার একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস পুষ্টির মান বাড়ানোর একটি সৃজনশীল উপায় হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা কিছু সংমিশ্রণকে শরীরের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন। প্রত্যেকের নিজস্ব স্বাদ এবং হজম পরবর্তী প্রভাব রয়েছে। আর সেই কথা মাথায় রেখে কিছু খাবার একে অপরের সঙ্গে মেশানো দেওয়া উচিত নয়। দুর্বল সংমিশ্রণ বদহজম, গাঁজন, পট্রিফ্যাকশন এবং গ্যাস তৈরি করতে পারে এবং দীর্ঘায়িত হলে টক্সেমিয়া এবং রোগ হতে পারে। বদহজম এবং টক্সিন তৈরির মতো সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে কিছু খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ঘি-এর সঙ্গে কিছু খাবার মেশালে তা পরস্পরবিরোধী শক্তি এবং পরিপাকতন্ত্রের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে। তাই সেসব খাবারের সঙ্গে ঘি মেশানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-
মধু: সমান পরিমাণে ঘি এবং মধু মিশিয়ে খাওয়া ক্ষতিকারক বলে মনে করা হয়। এই সংমিশ্রণটি শরীরে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করে, হজমকে ব্যাহত করে এবং শরীরকে ভারসাম্যহীনতার দিকে পরিচালিত করে। প্রয়োজনে সব সময় আলাদাভাবে বা অসম পরিমাণে সেবন করুন।
চা বা কফি: এটাও বলা হয় যে চা বা কফির সঙ্গে ঘি মেশালে তা পরিপাকতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে। যদিও ঘি দিয়ে কফি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তবে এর ভারী প্রকৃতি সবার জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। এটি অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা এবং চর্বিযুক্ত আফটারটেস্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
মুলা: ঘি এবং মুলা পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। মুলার তীক্ষ্ণ স্বাদ যখন ঘি- এর সঙ্গে মেশানো হয়, তখন তা হজমে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে পেট ফাঁপা বা বদহজম হতে পারে।
মাছ: মাছ এবং ঘি একসঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। এটি শরীরে গরম এবং শীতল শক্তির সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারে। যা হজমের অস্বস্তি, ত্বকের সমস্যা বা শরীরে টক্সিন তৈরি করতে পারে। এই দুই খাবার আলাদা খেলে পুষ্টির অভাব হবে না।
দই: দই এবং ঘি-এর বিপরীত গুণ রয়েছে; ঘি উষ্ণ এবং তৈলাক্ত হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখানে দই ঠান্ডা এবং ভারী। অতএব, এগুলো একসাথে খাওয়া স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়, কারণ এগুলো অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ায় অ্যাসিডিটি এবং ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে।
এইচএ