রাজধানীর পল্টন থানার একটি বিল্ডিংয়ের ১৭ তলার ছাদ থেকে পড়ে লিমা (১৬) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৃহকর্মী লিমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা খাইরুল কবির খান প্রাথমিকভাবে কোন তথ্য দিতে রাজি হননি। পরে তিনি বলেন, আমি বাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ অনেক লোকজন দেখতে পাই। গিয়ে দেখি একটি মেয়ে রাস্তায় পড়ে আছে।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে চেনেন না জানালেও পরে তিনি বলেন, আমার বাসা ১৪ তলায়। সে ওই ভবনের ১৭ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা গেছে। দেড় বছর আগে সে আমার বাসায় কাজে আসে। তার ঠিকানা কোথায় সেটিও তিনি জানেন না বলে জানান।
জানা গেছে, খাইরুল কবির খান ব্রাদারস গ্রুপের একজন পরিচালক। তিনি ও তার ছেলে মার্জিম কবির খান রাফি আহত অবস্থায় ওই গৃহকর্মীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খাইরুল কবির খানের ছেলে মার্জিম কবির খানও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
এদিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, প্রথমে খাইরুল কবির তাদেরকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কথা বলেন। কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হলে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বিকার করেন, মেয়েটি ১৭ তলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে।
পল্টন থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিল্লাল হোসেন শেখ বলেন, আমি অন্য একটি কাজে ঢাকা মেডিকেলে এসেছিলাম। পরে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। তারা আমাদেরকেও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে চাচ্ছে না।
এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফ্ল্যাট মালিক খায়রুল কবির খান ও তার ছেলে মার্জিম কবির খান রাফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ওই গৃহকর্মীর নাম ছাড়া এখন পর্যন্ত তার সঠিক ঠিকানা পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাসিরুল আমিন বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই ভবনে গিয়ে সিসি ফুটেজগুলো চেক করে বিস্তারিত জানা যাবে।
এবি