এইমাত্র
  • আওয়ামী দুঃশাসন নিয়ে সিনেমা বানিয়ে হুমকির মুখে তিশা
  • ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা
  • বাংলা‌দেশি-ভারতীয় আটক জেলেদের হস্তান্তর ৫ জানুয়া‌রি
  • খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন সোমবার
  • নতুন বছরে বুঝেশুনে খেলতে চান অভিনেত্রী ফারিন খান
  • দেশে নব্য ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে: জি এম কা‌দের
  • জামালপুরে যৌতুকের দাবিতে গর্ভবতী স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
  • অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা
  • এলপিজি ও অটোগ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ
  • একাত্তরে আপনাদের ভূমিকা কী ছিল, জামায়াতকে রিজভী
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আইসিটি বিভাগে ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের

    তামিম ইসমাইল, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম
    তামিম ইসমাইল, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম

    আইসিটি বিভাগে ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের

    তামিম ইসমাইল, শিবচর (মাদারীপুর) প্রতি‌নি‌ধি প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২০ পিএম

    মাদারীপুর জেলার শিবচরে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ শিবচরেই থাকছে এমন বার্তা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে প্রকল্পস্থান পরিদর্শন শেষে এমনি বার্তা দেন তিনি।

    এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমরা এখন যে বিষয়টি দেখছি, এখানে এর কার্যকারিতা কতটুকু! পরিস্কার করে বলতে গেলে, এ এলাকার জনগণের উপকারে আসবে কিনা। উপযোগিতা কতটুকু রয়েছে। এই জিনিসগুলো যখন আমরা প্রমাণ পাই, তখন কার্যক্রমগুলো শুরু করে থাকি। তাছাড়া বিগত সরকারের সময়ই এই কার্যক্রমগুলোর মধ্যে ভবন নির্মাণের চুক্তি, জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহনের কাজটি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। বিলের বিষয়ে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে পেমেন্ট সেটেল করা হবে।'

    তিনি বলেন,‘ ভবন নির্মাণের ঠিকাচুক্তি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। আমাদের একটি কমিটি ছিল, যে কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি।তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আজকে আমরা সরেজমিনে এখানে এসেছি। এরপর আমাদের একটা পিএসসি (প্রজেক্ট ইস্টেয়ারিং কমিটি) মিটিং হবে। এ মিটিংয়ের পরেই আমরা 'গো অন' বলে দেবো। তাছাড়া এই টেকনোলজির কাজ চলমান রয়েছে।'

    এ সময় সচিব আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইসিটি বিভাগকে এই প্রকল্পটি সহ ২১টি প্রকল্পের মূল অবকাঠামো ঠিক রেখে, নির্মাণ ব্যয় কতটুকু সাশ্রয় করা যায় নির্দেশ দিয়েছিলো। সে অনুযায়ী কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির প্রতিবেদনে টাকা সাশ্রয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমরা সরজমিনে প্রকল্পগুলো আবারো পরিদর্শন করতে চাই এবং আজকে কুতুবপুরে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক পরিদর্শন করতে এসে দেখলাম। এমন একটি প্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে থাকাটা জরুরি বলে আমি মনে করি।'

    তিনি বলেন,‘ফরমালি বলতে গেলে, মিটিং শেষে আরেক সপ্তাহ পরেই আমরা বলতে পারবো কাজ শুরুর বিষয়টি। সরকারি একটা নিয়ম নীতি রয়েছে। এরমধ্যে পিআইসি এবং পিএসসির মিটিংগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অর্থ মন্ত্রনালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় এর প্রতিনিধিরা রয়েছে। মিটিংয়ে তাদের কাছে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। এরপর সার্বিক মতামতের ভিত্তিতে সুযোগ্য উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিলে আমরা আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরুর কথাগুলো বলতে পারি। আর অনানুষ্ঠানিক ভাবে বলতে গেলে প্রকল্প এখানেই হচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন,‘এই প্রকল্প শিবচর থেকে পূর্বাচল চলে যাচ্ছে এমন কথা আমার তরফ থেকে বা আমার ডিভিশন থেকে বলা হয়নি। পূর্বাচলে আমাদের একটি আইসিটি ভবনের জন্য জায়গা নির্ধারিত রয়েছে। এই প্রকল্প এখান থেকে পূর্বাচলে যেতে হলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সুতরাং প্রকল্প সরানোর সুযোগ নাই। এখান থেকে প্রকল্প সরাতে হলে এই পরিমাণ জমি বা এর অর্ধেক জমিও লাগবে, যা পূর্বাচলে নাই। অর্থাৎ এটা শিফট হয়ে পূর্বাচলে যাবে এমন সম্ভবনা নাই।’

    এসময় প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সৈয়দ ইরতিজা আহসান বলেন, 'বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক' প্রকল্পের জন্য মোট ১৫শ ৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯শ ৩০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাকি ৬শ কোটি টাকা এখনো দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। যে টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তার মধ্যে থেকে যে কাজ হয়েছে সে কাজের বিল পরিশোধ বাবদ ২শত ৪৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।'

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনডিসি, এ,কে,এম, আমিরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপ-সচিব (প্রশাসন শাখা) মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, নির্বাহী প্রকোশলী ফিরোজ আহমেদ, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার বাছির আহাম্মদ মজুমদার, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন খানম, শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

    উল্লেখ্য, শিবচরের কুতুবপুরে নির্মাণাধীন "বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক" স্থানান্তর করা হচ্ছে এমন সংবাদের প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরে শিবচরের সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…