প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভা আয়োজনের অনুমতি পায়নি স্বৈরাচারের দোসর তকমা পাওয়া জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর পরিপ্রেক্ষিতে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, দেশে নব্য ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছে। হত্যাকাণ্ডের বিচারের নামে প্রহসন চলছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আলোচনা সভার কর্মসূচি ছিল জাপার। কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি না পেয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সভা করে দলটি। এরপর র্যালি করে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত।
গত চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নেয় জাপা। একতরফা, রাতের ভোট ও ডামি ভোটখ্যাত তিন নির্বাচনে জাপা বিরোধীদল হয় সংসদে। শেখ হাসিনার পতনের পর অতীতের ভূমিকার জন্য জাপারও বিচার দাবি করছে অভ্যুত্থানকারীরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মামলা হয়েছে জাপা নেতাদের বিরুদ্ধেও। অন্তর্বর্তী সরকারও কোথাও ডাকছে না জাপাকে।
তবে জি এম কাদের দাবি, তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেন, আবার মনে হয় একটি মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে। সভা-সমাবেশ করার অধিকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, অহিংসভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করব, এটা অধিকার।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে সমর্থন দিয়ে মেনে নিলাম। তাকে সমর্থন দিলেও উনি আমাদের মেনে নেননি। বিভাজন করে রাখলেন, একটি ফ্যাসিস্ট পক্ষের শক্তি, আরেকটি বৈষম্যবিরোধী। তারা ধরে নিলেন গত ১৬ বছর যারা নির্যাতিত হননি, তারা ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসর। যাদের দোসর আখ্যায়িত করা হলো তাদের বিনাবিচারে নির্যাতন, তাদের হয়রানি, মামলা দেওয়া, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে।
সরকারের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, জাতীয় ঐক্যের নামে নিবন্ধিত ৪৮ দলের ১৮ টিকে বৈঠকে ডাকলেন, ৩০টিকে বাদ দিলেন। প্রায় ৫০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে বাইরে রেখে ঐক্য হয় না। কেউই নিরাপদ নই, কে কখন কীভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে যাবেন, বলতে পারবেন না। যেভাবে দেশকে বিভক্ত করেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন কতটা সম্ভব প্রশ্ন রয়েছে।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ডিএমপি মৌখিকভাবে সভার অনুমতি দিয়েও বাতিল করে।
কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, যার যে অবদান তা স্বীকার করতে হবে। জাতীয় পার্টি ৩২ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার।
এবি