এইমাত্র
  • সুবাতাস বইছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের পালে
  • মেসিকে রাষ্ট্রপতি পদক দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
  • নির্বাচনের দুটি সম্ভাব্য সময় জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • জম্মু ও কাশ্মীরে ৩ ভারতীয় সেনা নিহত
  • বাধ্যতামূলক ছুটিতে ফার্স্ট সিকিউরিটির এমডি
  • আজহারীর মাহফিল শেষে থানায় জিডির হিড়িক!
  • ৩২ বছর গোসল না করে রেকর্ড ভারতীয় সাধক গঙ্গাপুরির
  • দেশটাকে পুটলা করেছে হাসিনা পরিবার: জামায়াত আমির
  • টেকনাফের নাফনদে কোস্টগার্ডের সাথে গোলাগুলি
  • দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা ফখরুল
  • আজ রবিবার, ২১ পৌষ, ১৪৩১ | ৫ জানুয়ারি, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মিরসরাই উপকূলীয় এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি

    জাবেদুল ইসলাম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
    জাবেদুল ইসলাম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

    মিরসরাই উপকূলীয় এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি

    জাবেদুল ইসলাম, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম

    চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। এতে লাঘব হবে এখানকার কয়েকশো শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ। এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় এখানকার শিশুরা প্রায় ৩ কিলোমিটারের বেশি দূরে গিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। বর্ষাকালে বন্ধ থাকে শিশুদের স্কুল যাত্রা। এতে পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ে তারা।

    এদিকে, অবহেলিত এসব শিশুদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন সোনালী স্বপ্নের উদ্যোগে ২০১৩ সালে গড়ে তোলা হয় 'সোনালী স্বপ্ন পাঠশালা'। তবে ঘর না থানায় খোলা আকাশের নিচে ১০৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে হচ্ছে।

    সারেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের মিরসরাই উপকূলের অবহেলিত দুটি গ্রাম গজারিয়া আর ডোমখালীর বাসিন্দা তারা। এই দুই গ্রামের বেড়িবাঁধ এলাকার অধিকাংশ শিশু শিক্ষা-স্বাস্থ্য আর চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে ২০১৩ সালে স্থানীয় শিক্ষিত কয়েকজন যুবক প্রতিষ্ঠা করেন ‘সোনালী স্বপ্ন পাঠশালা'। সুবিধাবঞ্চিত কয়েকজন শিশুদের নিয়ে বেড়িবাঁধের পরিত্যাক্ত একটি ঘরে শুরু হয় পাঠদান। স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত সেটিও ভেঙ্গে দেয়। সেই থেকে খোলা আকাশের নিচে চলে তাদের পাঠদানের কার্যক্রম। বর্তমানে এখানে পাশ্ববর্তী গ্রামের ১০৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়মিত পড়ানো হয়।

    স্থানীয় সমাজসেবীরা জানান, বেড়িবাঁধ এলাকার শিশুরা কখনো স্কুলে যেতো না। আর গেলেও অভিভাবকদের অসচেতনতা আর স্কুল অনেক দূরে হওয়াতে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত। খুব অল্প বয়স থেকে তারা সংসারের আয় রোজগারে নেমে পড়তো। বিশেষ করে জেলে পল্লীর শিশুরা ৮-৯ বছর বয়স থেকে পরিবারের বড়দের সঙ্গে মাছ ধরতে সাগরে যেতো। তাই এসব এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে সোনালী স্বপ্নের সংগঠনের সদস্যরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় প্রতি বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এসব এলাকার শিশুরা অংশ নেয়। তারা কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছে।

    পাঠশালার বর্তমান পরিচালক ইকবাল হোসেন বলেন, সপ্তাহে দুদিন শুক্রবার এবং শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে পাঠদান কার্যক্রম। বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দূরে হওয়ায় এবং যাতায়াত সমস্যার কারণে তারা সেখানে যেতে চায়না। অভিভাবকদের দাবি এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার।

    পাঠশালার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাজমা আক্তার বলেন, আমার ৩ সন্তান এখানে পড়তে আসে৷ আমাদের এলাকা থেকে স্কুল অনেক দূরে৷ এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুব জরুরি৷ সরকারের কাছে আহ্বান করছি এখানে যেন একটি স্কুল করে দেয়৷

    সোনালী স্বপ্ন সংগঠনটির সভাপতি মঈনুল হোসাইন টিপু বলেন, খোলা আকাশের নিচে শিশুদের পড়ানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষাকালে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয় তাদের। এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের বেশ প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। দূরত্বের কারণে অনেকেই যে ঝরে পড়ে যায়, সেই ঝরে পড়া রোধ করা যাবে। বেড়িবাঁধের আশে পাশে কোন সাইক্লোন শেল্টার নেই। যদি এই এলাকায় কোন স্কুল হয় তাহলে সেটিকে সাইক্লোন শেল্টার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে৷

    মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, উপকূলীয় এলাকাটিতে আমি গিয়েছিলাম। তারা যদি স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, তাহলে সেখানকার সরকারি খাস জায়গা থেকে একটি জমি বরাদ্দ দিবো।

    উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম ফজলুল হক জানান, এবিষয়ে কেউ এখনও যোগাযোগ করেনি। তবে সরকারি কিছু নীতিমালা আছে সেগুলো যথাযথ হলে এবং ভূমি মন্ত্রণালয় যদি জায়গা দেয় তাহলে আমরা পদক্ষেপ নিবো। তিনি আরও জানান, আমি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার সাথে এবিষয়ে কথা বলবো।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…