পেটে অন্ন জোগানো কষ্টসাধ্য।
ক্ষুধার তাড়নায় প্রায় সময়ই উপবাস থাকতে হচ্ছে। নেই আশ্রয়। জরাজীর্ণ ভাঙ্গা
কুড়ে ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অন্ধ ছেলে মিজু ও মা দুলালী বেগম।
কুড়িগ্রামের সরা যতীনেরহাট রেললাইন এলাকায় অন্ধ ছেলে মিজু ও তার মা দুলালী বেগম গত ১৫ বছর যাবৎ একটি নড়বড়ে কুড়ে ঘরে বসবাস করে আসছেন।
সহায়
সম্বল বলতে কিছুই নেই দুলালী বেগমের। একটি পুরাতন জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরে অন্ধ
সন্তান নিয়ে জীবণ যাপন করতে হচ্ছে তাদের। ঘরের চারদিকে ময়লা আর্বজনা পচে
দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ভাঙ্গা ঘরের পাশেই খোলা টয়লেট ও ঝুপড়ি। দুলালী বেগমের
নেই পানি খাওয়ার টিউবয়েল ও ব্যাবহারযোগ্য ল্যাট্রিন।
জরাজীর্ণ
পুরাতন টিনের চালায় পলিথিনের ছাউনি। এই শীতে শো শো করে ঠান্ডা বাতাস ঘরে
ঢোকে। শীত নিবারনের জন্য যথেষ্ট গরম কাপড়ও নেই তাদের এছাড়া বৃষ্টি এলেই
পুরো ঘর পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে জীবন বাঁচাতে অন্যের ঘরে
আশ্রয় নিতে হয় দুলালী বেগমের।
দুলালী বেগমের স্বামী মোন্নাফ আলী মারা গেছেন ১০ বছর আগে।
দুলালী
বেগম বলেন,আমার জরাজীর্ণ ভাঙ্গা কুঁড়ে ঘর থাকার মত না খুব ভয় লাগে কখন
গায়ে ভেঙ্গে পড়ে। তাই আমি সমাজের হৃদয়বান- বিত্তবানদের কাছে ঘর তৈরির জন্য
সহযোগিতা কামনা করছি।
একটা ছোট ঘর কেউ তৈরি করে দিলে আমি সারাজীবন সেই ঘরে নামাজ আদায় করতাম ও দোয়া করতাম।
স্থানীয় মিস্ত্রির কাছে হিসাব নিয়ে জানা যায় দুলালী বেগমের ঘর তৈরিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন।
দুলালী
বেগমকে সাহায্য করতে তার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর: ২০৫০৭৭৭০২২৪৫৭৪৮২৮
ব্যাংকের নাম: ইসলামী ব্যাংক লি: (এজেন্ট ব্যাংকিং), কুড়িগ্রাম।
দুলালী
বেগমের নিজস্ব মোবাইল: ০১৭৯৮৭৮৮৭৪৪। দুলালী বেগমের ঘর ভিডিও কলে দেখতে
০১৭১৩২০০০৯১ (হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর, সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধি)।
এফএস