ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্টে হাসিনা সরকারের পতন হয়। সেদিন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ। আন্দোলনে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। হাসিনা পতনের মধ্য দিয়ে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে মোংলা শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে ছাত্রজনতা।
সম্প্রতি 'জয় বাংলা'কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
কিন্তু হঠাৎ করে গত রাতে মোংলা পৌর মার্কেটের দেয়ালসহ শহরে বিভিন্ন দেয়ালে 'জয় বাংলা' লেখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই স্লোগানটি লিখে। এরপর ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে 'জয় বাংলা' লিখাটি স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেওয়া হয়। পরে দেওয়ালে 'জয় বাংলা' লেখার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে ছাত্রদল ও যুবদল।
এসময় বক্তারা বলেন- রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা জয় বাংলা লিখেছে। জয় বাংলা যারা কায়েম করার চেষ্টা করছে তাদেরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগরা আর কখনোই তারা বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫টি বছর বাংলাদেশকে গুজবে পরিণত করেছে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। গত ৫ আগস্টে স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ছাত্রলীগের কাঁধে ভর করে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলার মাটিতে তা কখনো বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।
এসময় যুবদল নেতা সুমন মল্লিক, রতন মাহমুদ, নয়ন আকন, স্বেচ্ছাসেবকদল মো. মোহন উদ্দিন, নুর উদ্দিন টুটুল, রাহাত হোসেন মুন্না ও মীর সাগরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এআই