তীব্র শীত পড়ার কারণে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে জেলা শহরের গাইটাল আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছেন পরিবহন কর্মচারীরা। এক-দুজন যাত্রী আসলেই তার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন তারা নিজেদের গাড়িতে তোলার জন্য। সে কারণে বিলম্বে ছাড়তে হচ্ছে প্রতিটি বাস। যাত্রীর আশায় দেরি করলেও আশায় গুড়েবালি। বাধ্য হয়ে সিট খালি রেখেই বাস ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
নিকলী আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে বুধবার (০৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯১ শতাংশ।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গাইটাল বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকাগামী অনন্যা, অনন্যা পরিবহনের, অনন্যা সুপার ও অনন্যা ক্লাসিক, যাতায়াত, কটিয়াদী থেকে জলসিঁড়ি এক্সপ্রেস, করিমগঞ্জের চামড়া বন্দর থেকে উজানভাটি পরিবহনসহ প্রায় শতাধিক বাস কাপাসিয়া হয়ে মহাখালী পর্যন্ত চলাচল করে।
৪০ সিটের গাড়িতে কোনো কোনো সময় ৬ থেকে ৭ সিটের বেশি যাত্রী মিলছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাস কর্তৃপক্ষ কিছুটা সিডিউল চেঞ্জ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাতে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
অনন্যা ক্লাসিকের যাত্রী সাদেকুর রহমান বলেন, আমি মাহাখালী যাব। গাড়িতে উঠে এ গাড়িতে মাত্র ৭ জন যাত্রী। তাই টিকিট ফেরত দিয়ে গেলাম। এ গাড়িতে বসে থাকলে আমার আর মাহাখালী যাওয়া হবে না।
অনন্যা সুপারের টিকিট মাস্টার রফিক মিয়া বলেন, সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা রুটে দুটি গাড়ি ছাড়তে পেরেছি। যাত্রী সংকটের কারণে সকাল সাড়ে ৯টার গাড়ির সিডিউল চেঞ্জ করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ ৪০ সিটের গাড়িতে যাত্রী পেয়েছি মাত্র ১৪ জন।
এ বিষয়ে জেলা পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক আনিসুজ্জামান বাবুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, কয়দিন যাবৎ তীব্র শীত পড়ার কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যাতায়াত করছেন না। হঠাৎ শীত বেশি পড়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এআই