বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ না করেও মানবিক বিবেচনায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ৩ জন শিক্ষার্থী।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানবিক দিক বিবেচনায় ওই তিন শিক্ষার্থীকে ভর্তি হয়ে ক্লাস করার অনুমতি দেয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
জানা গেছে, ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া ওই ৩ শিক্ষার্থী—মোছা. শিলা আক্তার শম্পা, রুবায়েত শারমিন আফিফা এবং নওশীন তাসনিম শশী।
নিজেদের অসাবধানতাবশত ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণ না করেই বাড়ি ফিরে যান তারা। পরবর্তীতে বিষয়টি বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলামের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজরে আসে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া জানান, “ওই শিক্ষার্থীরা ৭৫ শতাংশ ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। কিন্তু তাদের ভুল বোঝাবুঝির কারণে বাকি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি, ফলে তাদের ভর্তি বাতিল হয়ে যায়। যেহেতু তারা মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল, তাই মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের জীবন ও শিক্ষাজীবন নষ্ট না করতে আমরা বিশেষ সভার মাধ্যমে তাদের ভর্তি ও ক্লাসের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোছা. শিলা আক্তার শম্পা বলেন, “আমি ভর্তি কার্যক্রম প্রায় শেষ করেছিলাম কিন্তু রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর ও কাগজপত্র জমা না দিয়েই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে বাড়ি চলে যাই। পরে ওয়েবসাইটে মাইগ্রেশনে কোনো পরিবর্তন না দেখে কৃষি গুচ্ছের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করি। তখন জানতে পারি আমি অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি। বিষয়টি জানার পর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলি। পরে বাকৃবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম, হুমাইদা এবং সাদাত ভাইসহ অন্যদের সহায়তায় বিষয়টি উপাচার্য স্যারের কাছে তোলা হয় এবং মানবিক বিবেচনায় আমাকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।”
বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজন সেকেন্ড টাইমার এবং একজন অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তি বাতিল করে এসেছেন। যখন জানলাম অল্প ভুলের জন্য তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে চলেছে। তখন আমি চিন্তা করলাম যে তাহলে কি করা যায়। পরের দিন উপাচার্য স্যারের কাছে গিয়ে অনুরোধ করলাম। তাদের অভিভাবকরাও আরও বিভিন্ন জায়গা থেকে চেষ্টা করেছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কাজটি সফলতার মুখ দেখেছে।
এইচএ