নাটোরের গুরুদাসপুরে একের পর এক চুরি হচ্ছে বৈদ্যুতিক মিটার। চুরি যাওয়ার পর মিটারের পাশে রেখে যাওয়া হচ্ছে চিরকুটে বিকাশ নম্বর। চোর চক্রের সদস্যদের বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠালেই মিলছে চুরি যাওয়া বাণিজ্যিক মিটার।
রোববার (১৮ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে গুরুদাসপুর পৌরসভার চাঁচকৈড় কাঠহাটা এলাকা থেকে ১৩টি বাণিজ্যিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটে। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ চোর চক্রের বিরুদ্ধে কোন কার্যক্ররি পদক্ষেপ নিতে পারছেনা বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
জানা যায়, গুরুদাসপুর পৌরসভার বাণিজ্যনগরী চাঁচকৈড় বাজারের কাঠহাটা এলাকায় অবস্থিত প্রায় ২০টি ‘স’ মিল রয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে ১৩টি ‘স’মিলের বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়ে যায়। সকালে মিল মালিক ও শ্রমিকরা এসে দেখেন মিটার নেই।
মিটারের পাশেই দেওয়া আছে চোর চক্রের মোবাইল নম্বর। সেই নম্বররে চুরি যাওয়া মিটার গ্রাহকরা কল দিলে প্রতিপিচ মিটারের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দাবি করে চোর চক্র। পরবর্তীতে পাঁচ হাজার টাকা প্রতিপিচ মিটারের বাবদ দিলে মিটারের সন্ধান দিবে বলে জানায় চোর চক্রের সদস্যরা। এরপর চোরের বিকাশে পাঁচ হাজার টাকা করে পাঠানোর পরে গ্রাহকরা মিটারের সন্ধান পাচ্ছেন।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (গুরুদাসপুর জোনাল অফিস) এর ডিজিএম মমিনুর রহমান বিশ্বাস বলেন,‘চুরি যাওয়া মিটার গ্রাহকদেরকে চোর চক্রকে টাকা না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। প্রতিটি মিটার লোহার খাঁচা করে তালা বদ্ধ করে রাখলে চুরি কমবে। তাছাড়াও চোর চক্রকে পাঁচ হাজার টাকা না দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ৬ হাজার টাকা খরচ করলেই পূনরায় তারা নতুন মিটার নিতে পারবে। চোরদের টাকা দেওয়া বন্ধ করলেই আর চুরি করবে না।’
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন,‘মিটার চোর চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। অতি দ্রুত এসকল চোর চক্রকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে।’
এমআর