কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের সেবা বন্ধ রেখে চিকিৎসকরা গেলেন পিকনিকে। হাসপাতালের চিকিৎসক কমকর্তা-কর্মচারীসহ ৪০ জন চিকিৎসা কার্যক্রম অনেকটা অচল করে পিকনিকের জন্য গিয়েছেন সেন্টমার্টিন। এভাবে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে পিকনিক করার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে মিঠামইন থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যান তারা। তবে সুত্র জানায়, আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবেন তারা।
আজ রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিচতলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন নারী-পুরুষ। তাদের সামনে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা কেন্দ্রের দুই রুমেই তালা ঝুলছে। জানা গেলো, সেখানে সবাই এসেছেন এই পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে। কিন্তু রুমে তালা ঝুলিয়ে চিকিৎসকরা গেলেন পিকনিকে। একই সময় দ্বিতীয় তলায় বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা গেলো, প্রতিটি চিকিৎসকের কক্ষই ফাঁকা। রুমের সামনে রোগীদের সিরিয়ালের টিকিট অথবা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজ হাতে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় অর্ধশতাধিক রোগী। চিকিৎসক রুমে ফেরার অপেক্ষায় আছেন তারা। রোগীদের চোখেমুখে ক্লান্তি আর বিরক্তির ছাপ। এভাবে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখে পিকনিক করার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভও জানান অনেকে।
সেবা নিতে আসা আলিয়া বেগম নামে এক রোগী জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে তার ঠান্ডা-জ্বর। সঙ্গে কাশিও। বৃহস্পতিবার কফ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নমুনা দিয়েছেন। রবিবার তার পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার কথা। কিন্তু এসে দেখেন রুম ফাঁকা।
সেবা নিতে আসা বিল্লাল জানান, আমার তিনদিন ধরে শ্বাসকষ্ট। এজন্যই ডাক্তার দেখাতে এসেছি। কিন্তু এসে শুনি চিকিৎসকরা সবাই পিকনিকে আছেন। এসময় সেবা কাযর্ক্রম বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হন রোগীরা। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরও সেবা না পেয়ে অনেকেই ফিরে যান। হাসপাতালের চিকিৎসা কাযর্ক্রম বন্ধ রেখে এভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিকনিক করা নিয়ে ক্ষোভ জানান অপেক্ষমাণ রোগীরা।
এ বিষয়ে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডা. আব্দুল আল শাফির ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোনে সারা দেননি।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
পিএম