'কোটা না মেধা, মেধা মেধা' 'দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ' সহ জুলাই গণভুথ্যানের পুরানো সব স্লোগানে আবারো প্রকম্পিত হলো চট্টগ্রাম। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্লোগানে স্লোগানে যেনো ফিরে এলো নিকট অতীতের পুরানো সেই স্মৃতি। কোটা ইস্যুতে আবারো সরগরম বীর চট্টলার রাজপথ। শিক্ষার্থীদের এবারের দাবি ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বৈষম্য নিরসনের। দাবির সাথে আছে আক্ষেপের সুরও। তাদের ভাষায়, এত এত প্রাণহানির পরও একই ইস্যুতে কেনো আবার রাজপথে নামতে হলো শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে নগরীর প্রেস ক্লাবের সামনে ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে ছিলো এমনি চিত্র।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন,'যে কোটা প্রথা বাতিলের দাবীতে আবু সাইদ,মুগ্ধ,ওয়াসিম,শান্তরা জীবন দিলো,আমাদের দুই হাজারের অধিক ভাইবোন প্রাণ হারালো,সে প্রথা কিভাবে এখনো চালু থাকে। গতকাল এমবিবিএস (ব্যাচেলর অব মেডিসিন, ব্যাচেলর অব সার্জারি) পরীক্ষার ফল দিলো। আমরা দেখতে পেলাম অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভালো নম্বর অর্জন করেও মেরিট লিস্টে জায়গা পেলো না। অথচ কোটা'র সুযোগ নিয়ে বেসিক কম্পোনেন্ট না জানা অনেক শিক্ষার্থীই সুযোগ পেলো।যে কোটা প্রথা বিলুপ্তি এবং মেধাবীদের মূল্যায়নের দাবীতে ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থান হলো,এত এত শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতা'র রক্ত ঝরলো,সেই একি দাবী তে কেনো আবার আমাদের রাজপথে নামতে হলো।'
বর্তমান সরকারের প্রতি দাবী জানিয়ে কেন্দ্রীয় এই সমন্বয়ক আরো বলেন,'আজকের কর্মসূচি থেকে সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, অনতিবিলম্বে মেডিকেলসহ সকল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বৈষম্য নিরসন পূর্বক মেধাবীদের যথার্থ মূল্যায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল কোটা তুলে দিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ট্রাইবাল এবং প্রতিবন্ধীদের সুযোগ করে দিয়ে, সুযোগের সমতা তৈরি করার দাবি রাখছি।'
বিক্ষোভ কর্মসূচি তে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরাও তাদের বক্তব্যে দ্রুততম সময়ে কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবী জানান।
সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে নগরীর জামালখান মোড় এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- আরিফ মঈনুদ্দিন, রিদুয়ান সিদ্দিকী, সাইফুর রহমান খান রূদ্র, আব্দুল বাছির নাইম, নীলা আফরোজ, তাওহিদ আলিফসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক-ছাত্র প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
পিএম