এইমাত্র
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেন মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো না হয়
  • আমাদের ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাববেন না: জামায়াত আমির
  • তিস্তা ইস্যুতে প্রয়োজনে সমাধানের পথ নিজেরাই খুঁজবো: তারেক রহমান
  • চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি অবাঞ্চিত ঘোষণা
  • ইডেনে সার্টিফিকেট নিতে এসে আটক হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেত্রী
  • বান্দরবানে বাস চাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, প্রতিবাদে বাসে আগুন
  • প্রাথমিকের ৬৫৩১ জনের ফল বাতিলের আপিল শুনানি ২ মার্চ
  • নোয়াখালীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • খুলনায় আগুনে পুড়ল ৬ দোকান
  • প্রয়োজনে র‍্যাব নতুন করে গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • আজ বুধবার, ৬ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    বিনোদন

    আমার উপর এবার একটু রহম করো: পরীমণি

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ এএম
    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ এএম

    আমার উপর এবার একটু রহম করো: পরীমণি

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ এএম

    ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। কাজের চেয়ে ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন এই অভিনেত্রী। কখনো প্রেম, কখনো বিচ্ছেদ, কখনো আবার বিতর্কিত কোনো কর্মকাণ্ডের কারণে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি।

    বিষয়গুলো নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত এই অভিনেত্রী। ভক্তদের কাছে তাই পরীমণির হাতজোড় অনুরোধ, আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি করবেন না। এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে।

    বৃহস্পতিবার(৩০ জানুয়ারি) সকালে এমনই এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, আজ কোনো এক কারণে নিজেকে নিজের মতো করে অনেকগুলো প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করলো আমার। নিজের সঙ্গে কথোপকথন হলো খুব। নিজেকে আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করলাম সবগুলোই।

    এরপর প্রশ্নগুলো তুলে ধরে পরী লিখেছেন- ১। পরী, আপনি কর্ম জীবনে কি এমন কাজ করেছেন বলে মনে করেন যার জন্য সাধারণ জনগণের আপনাকে নিয়ে এত মাতামাতি? বা পাশাপাশি গণমাধ্যমে আপনাকে নিয়ে এতো সম্প্রচার কেন হয় বলে মনে করেন?

    ২। আপনার কাজের থেকে লোকে আপনার ব‍্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে কেন পছন্দ করে?

    ৩। আপনার আগের জেনারেশনের থেকেও যদি আরো একটু আগে চলে যাই, যেমন- শাবানা, ববিতা, কবরী, রোজিনাদের আমলে কি তারা তাদের কাজ নিয়ে যতটা ফোকাসে থাকতেন ততটা কি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ফোকাসে থাকতেন?

    ৪। নিজেকে থামিয়ে দিলাম এ রকম হাজারো প্রশ্নের থেকে। কারণ, জীবনে কখনো কখনো নিজের কর্ম অবস্থানের থেকে খুব বেশি জরুরি হয়ে পড়ে ওই জীবনটা। প্রত্যেকটা জীবনের অধিকার আছে সুন্দর করে বেঁচে থাকার। আমার প্রথম অনুরোধ, প্লিজ এবার একটু ছেড়ে দেন আমাকে। আমার কাজের বাইরে আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর টানাটানি কইরেন না আল্লার ওয়াস্তে। বিশ্বাস করেন, এখানে আমার জীবনটাই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এখন। আমার সাকসেসফুল ক্যারিয়ারের থেকেও জরুরি আমার সুস্থ জীবনযাপনের। কারণ আমার বাচ্চাদের আমি একটা সুন্দর সুস্থ জীবন দিতে চাই।

    আমি আমার বাচ্চাদের মা/একমাত্র অভিভাবক হয়ে আমি তার সর্বোচ্চটা দিতে চাই। যেমন করে হয়তো সব মায়েরাই চায়! গত তিন-চারটা মাস আমার জীবনের সব থেকে কঠিন সময় পার করেছি আমি। কেন/কি জন্যে সেটার ডেসক্রিপশনটা দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে ধরে নিচ্ছি। আমি নায়িকা, আমি মেয়ে, সব কিছু ছাড়িয়ে আমি মানুষ। আমি এই পৃথিবীর সমস্ত মানুষের কাছে প্রার্থনা করছি- হে মানুষ, হে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ, তোমরা আমার উপর এবার একটু রহম করো। আগে আমি সুন্দর করে একটু বাঁচি তারপর এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর দেব।

    সম্পর্কিত:

    প্রকাশ্যে মেহজাবিন-আদনাদের বিয়ের খবর, আনুষ্ঠানিকতা ২৪ ফেব্রুয়ারি

    টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আদনান আল রাজীব দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে রয়েছেন। থেমে নেই তাদের প্রেম, বিয়ের গুঞ্জন। তবে দুজনের কেউ এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।২০১৮ সালে মেহজাবিন চৌধুরী নির্মাতা আদনান আল রাজিবের সঙ্গে একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখেন, 'ধাপে ধাপে, সিঁড়ির পর সিঁড়ি, নিজেকে বিশ্বাস করো এবং তুমি থাকবে যেখানে'। এরপর থেকেই তাদের প্রেমের বিষয় প্রকাশ্যে আসে।প্রেমকে পরিণয়ে রূপ দিয়েছেন এই জুটি। এদিকে বিশ্বস্ত কয়েকটি সূত্র সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়, এখন আর প্রেম নয়, বিয়ে করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী এবং আদনান আল রাজিব। একে অপরের পারিবারিক আয়োজনেও অংশ নেন এই জুটি। করোনার পরেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এদিকে ২০২২ সালে মেহজাবিন চৌধুরী একটি অ্যাওয়ার্ড শোতে অংশ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। সেখানে আরও গিয়েছিলেন ছোট পর্দার আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা, তাসনিয়া ফারিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা একসঙ্গে বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছেন সেসময়। তবে মেহজাবিন চৌধুরী এবং আদনান আল রাজিবের সম্পর্কের বিষয়টি আবারও সামনে আসে তানজিন তিশার একটি টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে। তিশার সেই টিকটক ভিডিওতে দেখা যায় মেহজাবিন চৌধুরী এবং আদনান আল রাজিব দুজন হাত ধরে হাঁটছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেহজাবিন ও আদনানের ঘনিষ্ঠজন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, 'দুই বছর হলো মেহজাবিন আদনান আল রাজিব বিয়ে করেছেন। এটা পুরো ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা জানে। তারা গুলশান নিকেতনে থাকেন। তারা একসঙ্গে বেশ কয়েকবার অবকাশ যাপন কাটিয়েছেন।' অন্যদিকে দেশের একটি গণমাধ্যম সূত্রের বরাতে জানায়, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অদূরের এক রিসোর্টে হচ্ছে তাদের গায়ে হলুদ।  একই জায়গায় ২৪ ফেব্রুয়ারি হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।  এখন সে আয়োজনেরই দাওয়াত কার্যক্রম চলছে বলেই সূত্র জানিয়েছেন।  তবে এ বিষয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনা সাড়া মেলেনি।  ২০০৯ সালে 'লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার' প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন মেহজাবিন। এরপর নিয়মিত ছোট পর্দায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। অন্যদিকে দেশের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের তালিকায় রয়েছেন আদনান আল রাজিব। 

    না ফেরার দেশে তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী

    নাটকপাড়ার তরুণ অভিনেতা শাহবাজ সানী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শাহবাজের মৃত্যুর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা রাফাত মজুমদার রিংকু। তিনি লিখেন, আমার ভাই অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নাই। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ঢাকা স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাত ৩:৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছে।অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, 'অভিনেতা শাহবাজ সানী আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবাই সানীর জন্য দোয়া করবেন।'এ  অভিনেতার মৃত্যুতে শোবিজ অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নির্মাতা ইমরাউল রাফাতের 'কাছে আশার পর' নাটক দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন শাহবাজ সানী।  অল্প সময়েই অভিনয় গুণে দর্শকের প্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং সেইসাথে অর্জন করেছেন নির্মাতাদের আস্থাও। চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করলেও এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। ২০১৮ সালে 'আব্দুল্লাহ' নাটকে তাকে প্রথমবার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এটি পরিচালনা করেন গোলাম কিবরিয়া ফারুকী। 

    সৌমীর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন কবীর সুমন

    প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ভালবাসতে শিখিয়েছে যে গান, তার স্রষ্টা কবীর সুমন। বরাবরই স্পষ্টবাদী কবিয়াল প্রেমে পড়েছেন একাধিক বার। লুকোননি কখনও। এবার ৭৫ বছরে ফের প্রেমে পড়লেন কবীর সুমন। ভালোবাসা দিবসে সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের একটি পোস্ট রীতিমত ভাইরাল। এক নারীর সঙ্গে ছবি দিয়ে কবীর সুমন লেখেন, ‘আমাদের ভ্যালেন্টাইন।’ সেই ক্যাপশন থেকেই শিল্পীর নতুন করে প্রেমে পড়ার জল্পনার সূত্রপাত, যা নিয়ে আলোচনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।ভালোবাসা দিবসে সেই পোস্ট দেখে অনুরাগী শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন শিল্পীকে। একদিন পর সেই পোস্ট নিয়ে মুখ খুললেন শিল্পী। পোস্টের নেপথ্যের কারণ ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি তাঁর ফ্রেমে ধরা দেওয়া নারীর পরিচয়ও দিলেন কবীর সুমন।ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনকে কবীর সুমনে জানান, শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ। বার্ধক্যজনিত কারণে তার একা থাকা বারণ। বিছানা থেকে বাথরুম যাওয়া কিংবা সিঁড়ি দিয়ে হাঁটাচলা করার সময়ও লাঠির সাহায্য নিতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ, কাউকে না কাউকে সঙ্গে থাকতে হবে সবসময়। সিঁড়ি দিয়ে নামলেও তৎক্ষণাৎ ওঠা যাবে না। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। এমন অবস্থায় প্রতিদিন কোনো ছাত্রী বা অন্য কেউ থাকেন তার সঙ্গে। তাদের মধ্যে রয়েছেন মৃন্ময়ী, কারা, সৌমীসহ ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে অনেকে। তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গেও কবীর সুমনের পারিবারিক সম্পর্ক।ভালোবাসা দিবসের সেই পোস্টের বিষয়টি পরিষ্কার করে কবীর সুমন বলেন, ''ভালোবাসা দিবসে সৌমী আমার বাসায় ছিলেন। আমরা বারান্দায় গিয়ে ছবি তুলি এবং 'আমাদের ভ্যালেন্টাইন ডে’ বলে একটা পোস্ট করি। সৌমী আমার প্রেমিকা নন, আমার ছাত্রী, বন্ধু। দেখভাল করার জন্য প্রয়োজনে আমার বাড়িতে থাকেন। নতুন করে প্রেমে পড়ার খবর ভুয়া।” পোস্টের ছবিতে দেখা যায় সৌমীর কাঁধে হাত রেখে হাসিমুখে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন সুমন। সত্তরোর্ধ্ব শিল্পীর ভালোবাসা দিবসের পোস্টে নতুন করে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন অনুরাগীরা। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভরে যাচ্ছে কমেন্টবক্স।

    না ফেরার দেশে ‘আমি বাংলায় গান গাই’খ্যাত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়

    কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার মৃত্যুর বিষয়টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি ২৪ ঘণ্টা নিশ্চিত করেছে।৮৩ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পীর অন্ত্রের অপারেশনের পর হার্ট অ্যাটাক হয়। মৃত্যুর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। বছরের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, গুরুতর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পর প্রতুলকে পরীক্ষা করে দেখেন স্নায়ু এবং নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞরা। হাসপাতালে গিয়ে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রীও। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রোপচারের পর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন প্রতুল। এরপর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। সঙ্গে আবার অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণ ও নিউমোনিয়া। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। একটা পর্যায়ে সংজ্ঞাহীন হন এই সংগীতশিল্পী। দ্রুত অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের ফলে পরিস্থিতি ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত গায়ক। সোমবার তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।কয়েকদিন আগেও হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলার গান গাই’ গেয়ে শোনান প্রবীণ গায়ক। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে তার আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কারণ, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে গায়কের। তড়িঘড়ি কার্ডিওলজি বিভাগে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানেই ধরা পড়ে, ফুসফুসেও প্রবল সংক্রমণ রয়েছে। তবে সেই সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া না ভাইরাসের জেরে, নাকি মিশ্র গোত্রের, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কড়া অ্যান্টিবায়োটিক চললেও তাতে সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না প্রতুল।১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দেশভাগের সময় সপরিবার ভারতে পাড়ি জমান তিনি। ছোটবেলা থেকেই নিজের লেখা গানে সুর দিতেন। তার অনেক সৃষ্টির মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি বিশেষভাবে সমাদৃত। গানটি ২০১১ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়।উল্লেখ্য, প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)। বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’।এবি 

    ঢাকায় আজ জেমসের কনসার্ট, সবার জন্য উন্মুক্ত

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে চলছে ‘তারুণ্যের উৎসব’। গত ১১ তারিখ শুরু হওয়া এই আয়োজন শেষ হচ্ছে আজ। মেলা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সেমিনারসহ নানামাত্রিক আয়োজনে সাজানো এই উৎসবের সমাপনীতে থাকছে কনসার্ট। এতে অংশ নেবেন উপমহাদেশের বিখ্যাত রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস ও তার দল নগরবাউল। তাদের সঙ্গে কনসার্টে গাইবে জনপ্রিয় ব্যান্ড আর্টসেল। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন আয়োজকরা।আয়োজকরা জানান, পুরো কনসার্টটি থাকবে উন্মুক্ত। কোনো টিকিট লাগবে না। ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে সন্ধ্যার পর থেকে। সাড়ে ৬টায় মঞ্চে আসবেন শিল্পীরা। চলবে মধ্যরাত পর্যন্ত।জেমস-এর ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন জানান, উৎসবের সমাপনী আসরে আজ  সন্ধ্যায় থাকছে নগর বাউল চমক। কনসার্টটি থাকছে সবার জন্য উন্মুক্ত।‘তারুণ্যের উৎসব’ আয়োজন করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদফতর। এবারের উৎসবের স্লোগান ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’। 

    হুমায়ুন ফরীদি যিনি অভিনয়ের দাপটে মৃত্যুঞ্জয়ী

    অভিনেতাদের অভিনেতা, কখনো নায়ক, কখনো খলনায়ক, কারো কাছে আদর্শ, কারো কাছে উপমা। দাপিয়ে বেরিয়েছেন অভিনয় জগতের প্রত্যেকটি আঙিনায়। একুশে পদকসহ পেয়েছেন অনেক সম্মাননা। জীবদ্দশায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে মঞ্চ, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রে সমান দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে রঙ ছড়িয়ে গেছেন বরেণ্য অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। হতে চেয়েছিলেন ব্যবসায়ী। কিন্তু হয়ে গেলেন দেশসেরা অভিনেতা। ২০১২ সালের আজকের এ দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হুমায়ুন ফরীদি।মৃত্যুকে তার কাছে মনে হতো স্নিগ্ধ সুন্দর। চলে গেছেন তবুও মৃত্যু হয়নি তার। এখনো বেঁচে আছেন দর্শক, ভক্ত আর শুভানুধ্যায়ীদের হৃদয়ে। হুমায়ুন ফরীদি মৃত্যুকে অনিবার্য মেনে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের যে অল্প কয়েকজন অভিনেতা দেশের মানুষের অঢেল ভালোবাসা পেয়েছেন তাদের মধ্যে স্বর্ণাক্ষরে জ্বলজ্বল করে জানান দিচ্ছে যে নাম সেটি হুমায়ুন ফরীদি। হুমায়ুন ফরীদির মতো দারুণ সাহিত্য জ্ঞান নিয়ে মঞ্চ, ছোট পর্দা, বড় পর্দায় সমানতালে দাপট দেখানোর মতো অভিনেতা বাংলাদেশে হাতেগোনা। এমন বিরল প্রতিভা নিয়ে অভিনয়ের সব মাধ্যমে দাপট দেখিয়েছেন তিনি।মৃত্যুকে নিয়ে হুমায়ুন ফরীদি বলেছিলেন, মৃত্যুর মতো এত স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। কারণ মৃত্যু অনিবার্য। তুমি যখন জন্মেছ তখন মরতেই হবে। মৃত্যুর বিষয়টি মাথায় থাকলে কেউ পাপ কাজ করবে না। যেটা অনিবার্য তাকে ভালোবাসাটাই শ্রেয়। তিনি আরো বলেছিলেন, মৃত্যুকে ভয় পাওয়া মূর্খতা। জ্ঞানীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও, তাহলে দেখবে জীবন কত সুন্দর! মৃত্যু মানে মানুষের অস্তিত্বের বিলীন হয়ে যাওয়া নয়। মানুষ তার সৃষ্টি ও কর্ম দিয়ে অস্তিত্বকে যুগ যুগ ধরে কালোতীর্ণ করে রাখেন। মৃত্যুকে জয় করার উপায় না থাকলেও যেকোনো মানুষ তার কর্ম দিয়ে এভাবে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে ওঠেন। হুমায়ুন ফরীদি তেমনই একজন, যিনি তার দাপটে অভিনয় দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী।রোমান্টিক এক অভিনেতার নাম হুমায়ুন ফরীদি। ভালোবাসা নিয়ে তার উক্তি আজও মানুষকে উদ্দীপ্ত করে। বলেছিলেন, তুমি যখন কাউকে ভালোবাসবে এক বুক সমুদ্র নিয়ে তাকে ভালোবাসবে। তা না হলে প্রেমের কোনো অর্থ নেই। ভালোবাসা নিয়ে প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির করা উক্তিটি আজও সবার মধ্যে থাকলেও সে মানুষটি আজ আমাদের মধ্যে নেই।১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষা আন্দোলনে দেশ যখন উত্তাল, তখনই পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখেছিলেন হুমায়ুন ফরীদি। ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্ম নেয়া ফরিদীর অভিনয় জীবনের শুরু ছাত্র জীবনেই। মঞ্চে কাজ করতেন। টিভি নাটকে প্রথম অভিনয় করেন আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় নিখোঁজ সংবাদে। জন্মের পর থেকেই ছিলেন ডানপিটে স্বভাবের। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র তিন মাধ্যমেই সমানতালে কাটিয়ে গেছেন তিন দশক। অভিনয় দিয়ে আমৃত্যু ছড়িয়েছেন আলো। তার ব্যক্তি জীবনটা একেবারেই ছিল সাদামাটা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন তাকে থিয়েটারে যোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। দেশের অন্যতম নাট্যসংগঠন ঢাকা থিয়েটারে শুরু হয় হুমায়ুন ফরীদির থিয়েটার নাট্যচর্চা। মঞ্চে অভিনয় করেন কীর্তনখোলা, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, আরো বেশ কয়েকটি নাটকে।টেলিভিশন কিংবা মঞ্চে সেলিম আল দীন ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর সঙ্গে ছিল তার সর্বাধিক সংখ্যক কাজ। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গেও অনেক নাটকে কাজ করেছেন হুমায়ুন ফরীদি। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদের সংশপ্তক ধারাবাহিক নাটকে হুমায়ুন ফরীদি অভিনীত চরিত্র কানকাটা রমজান এখনো দর্শক মনে দাগ কেটে আছে।চলচ্চিত্রেও হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন বেশ জনপ্রিয়। তানভীর মোকাম্মেলের হুলিয়া দিয়েই এ মাধ্যমে যাত্রা শুরু তার। শহিদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত সন্ত্রাস সিনেমা দিয়ে বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে তার সাফল্য শুরু। এরপর ভণ্ড, জয়যাত্রা, শ্যামল ছায়া, একাত্তরের যীশু, বিশ্বপ্রেমিক ও পালাবি কোথায়সহ আরো অনেক সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। তার অভিনীত বেশিরভাগ চলচ্চিত্র ছিল সুপারহিট দর্শকপ্রিয়।বিশেষ করে খল চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় এখনো দর্শক চোখে তৃপ্তি জুড়ায়। মাতৃত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৪ সালের সেরা অভিনেতা শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এ অভিনেতা। ২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট মুক্তি পাওয়া উত্তম আকাশ পরিচালিত 'এক জবানের জমিদার হেরে গেলেন এবার' ছিল তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র। অভিনয়ে জীবনে দ্যুতি ছড়ালেও ব্যক্তিজীবনে খুব একটা সুখী ছিলেন না হুমায়ুন ফরীদি। ফরিদপুরের মেয়ে মিনুকে বিয়ে করে প্রথম সংসার শুরু করলেও স্থায়ী হয়নি সে সংসার।এরপর প্রখ্যাত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তফার সঙ্গে ঘর বাঁধেন এ অভিনেতা কিন্তু ২০০৮ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাই দিনযাপন করেছেন প্রখ্যাত এ অভিনেতা।এক যুগেরও বেশি সময় আগে ঋতুরাজ বসন্ত আসার দিনে অভিনয়ের এ মহারাজা চলে গেলেও তার ভক্তকুলের হৃদয়ে এখনো জায়গা করে আছেন।
    Loading…