চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াত নেতা মাষ্টার জাহিদ ও জহির নামে দুজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও হামলা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন হুমায়ূন কবির নামের বিএনপির এক কর্মী।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার হিঙ্গুলী বাজারের পূর্ব হিংগুলী মোহাম্মদীয়া কমপ্লেক্স মাদ্রাসা ও মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিঙ্গুলী এলাকায় একটি সামাজিক ঝগড়া মীমাংসার লক্ষ্যে বাদ আসরের পর বৈঠক করার জন্য সমাজের সকলে উপস্থিত থাকার কথা ছিল এবং এলাকাবাসীকে দাওয়াত দেওয়াসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু আসরের নামাজের পর বৈঠকের ঠিক আগে হিঙ্গুলী বাজারের মুদি দোকানদার ও বিএনপি নেতা হুমায়ূনের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের চার-পাঁচজনের একটি টিম জাহিদ, মহিউদ্দিন, দিদার মহাজনহাট কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ও ২নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর রুকন মাষ্টার মোহাম্মদ জাহিদের উপর হামলা চালায়। মাষ্টার জাহিদকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাইবেনিরখিল আল-ইকরাম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জহির উদ্দিন। সংঘর্ষে হামলাকারীদের মধ্যে বিএনপি কর্মী হুমায়ূন কবিরও আহত হন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী হুমায়ূন হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, 'তাদের উপর আগে হামলা করা হয়।'
আহত জামায়াত নেতা মাষ্টার মোহাম্মদ জাহিদ বলেন, 'হিঙ্গুলী মোড়ের ফার্নিচার দোকানদার ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ফার্নিচার সংক্রান্ত কথাকাটাকাটির জেরে আমাকে দোষারোপ করা হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় কিছু বিষয়ে আমি বারণ করলে হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠি ও বাঁশ নিয়ে আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে আমার চাচাতো ভাই মাষ্টার জহির উদ্দিনও আহত হন।'
জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মাঈন উদ্দিন জানান, আহত জহির উদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং মাষ্টার জাহিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জোরারগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ আসামীদের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাংগঠনিকভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুল হালিম বলেন, 'হিঙ্গুলীতে সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত চলমান রয়েছে। এবিষয়ে উপয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে।'
এসআর