এইমাত্র
  • থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের সংঘাত
  • প্রাথমিকের ৩২ হাজার সহকারী শিক্ষককে দুঃসংবাদ দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
  • চীনের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া
  • পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান সেনা নিহত
  • বিজয় দিবস উদযাপনে ভারতে যাবেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা
  • ৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • আজ সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪১ পিএম

    গাজায় নিশ্চিহ্ন মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকেই ভেসে আসছে আজান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    ইসরাইলি হামলায় অবরুদ্ধ গাজার প্রায় সব মসজিদই এখন ধ্বংসস্তূপ।উপত্যকাটির ঐতিহাসিক স্থাপত্য, মিনার ও নামাজের স্থানগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। তবুও ধ্বংসস্তূপের মাঝেই আজান দিচ্ছেন মোয়াজ্জিনরা, নামাজ পড়ছেন ফিলিস্তিনিরা।

    দ্য ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের যুদ্ধ গাজাকে প্রায় মিনারবিহীন করে দিয়েছে। যেসব মসজিদ একসময় নামাজের আহ্বানে মুখর ছিল, সেগুলো এখন ধূলা আর পাথরের স্তূপে পরিণত। শতাব্দীপ্রাচীন স্থাপত্যের কোনো চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই—যেন ইতিহাসই বোমার নিচে বিলীন হয়ে গেছে।

    গাজার শুজাইয়্যা এলাকার ৬২ বছর বয়সী আবু খালেদ আল-নাজ্জার ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে জানান, আমার বাবার কণ্ঠস্বর চেনার আগেই আমি মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ চিনতাম। পঞ্চাশ বছর ধরে এখানে নামাজ পড়েছি, আর আজ মসজিদের দরজার পাশের নামাজের গালিচাটাও ধ্বংসস্তূপের নিচে হারিয়ে গেছে।

    গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকার ১,২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টি পুরোপুরি ধ্বংস এবং ১৮০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে মামলুক ও অটোমান যুগের শতাব্দীপ্রাচীন মসজিদও রয়েছে।

    পুরনো শহরের গ্রেট ওমারি মসজিদের ধ্বংসাবশেষে ২৭ বছর বয়সী মাহমুদ কান্দিল খুঁজছেন কিবলা দেয়ালের পাথর। তিনি জানান, এই মসজিদ ছিল গাজার প্রাণ। এখন শুধু ধুলা। মনে হচ্ছে তারা শুধু ভবন নয়, আমাদের স্মৃতিও মুছে ফেলতে চায়।

    আল-দারাজপাড়ায় একসময় ছিল আল-সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ। তার ধ্বংসাবশেষের সামনে বসে ৭৪ বছর বয়সী উম্মে ওয়ায়েল বললেন, আমি অসুস্থ থাকলেও প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে সূরা আল-কাহফ পড়তাম। এখন যাওয়ার জায়গা নেই। তবু ঘরে বসে আমরা কুরআন পড়ব—আল্লাহ আমাদের কথা শুনবেন, যেখানেই থাকি।

    এমআর-২

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…