ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় চাঞ্চল্যকর সাত বছর বয়সী শিশু জায়ান রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যাকে (৪৫) পুলিশি রিমান্ডে না আনায় হত্যা রহস্য উদঘাটন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী পলাশ মোল্যার শিশুপুত্র জায়ান রহমানের মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ঝোপঝাড়ের মধ্য থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর শিশুটির মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নিহত শিশু জায়ানের গলায় পাওয়া রশিটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে, ঘটনার কিছুদিন আগে প্রতিবেশী ইউনুচ মোল্যা পার্শ্ববর্তী টাবনী বাজারের মফিজ খানের মুদি দোকান থেকে ওই রশির সঙ্গে মিল থাকা একটি রশি ক্রয় করেছিলেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউনুচ মোল্যা রশি কেনার বিষয়টি অস্বীকার করায় পুলিশের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। এরপর গত ২৫ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। বর্তমানে ইউনুচ মোল্যা জেলহাজতে রয়েছেন।
মফিজ খানের দোকানের ম্যানেজার আশিক শেখ রশি ক্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, 'জায়ান হত্যার ১০-১৫ দিন আগে ইউনুচ মোল্যা আমাদের দোকান থেকে ১০০ টাকা মূল্যের ৩০০ গ্রাম রশি ক্রয় করেন। জায়ানের গলায় পাওয়া রশির সঙ্গে ইউনুচের ক্রয় করা ওই রশিটির মিল আছে।'
আলফাডাঙ্গা থানা উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) সুজন বিশ্বাস জানান, হত্যাকাণ্ডের মূল উদ্দেশ্য ও জড়িতদের চিহ্নিত করতে অভিযুক্ত ইউনুচ মোল্যাকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর আদালত রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন। রিমান্ডের অনুমতি পেলে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে দ্রুততম সময়ে হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ইখা