এইমাত্র
  • বিজয় দিবস উদযাপনে ভারতে যাবেন ৮ মুক্তিযোদ্ধা
  • ৬ দিনে এলো ৬৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
  • ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে কী সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
  • দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
  • আজ সোমবার, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    দুপুরে সংবাদ প্রকাশ, বিকেলে সিলগালা নকল ঔষুধের কারখানা

    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম
    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

    দুপুরে সংবাদ প্রকাশ, বিকেলে সিলগালা নকল ঔষুধের কারখানা

    আব্দুল মান্নান, নওগাঁ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৫ পিএম

    ‘নওগাঁয় ভেজাল মাছের ওষুধ তৈরির হিড়িক, দ্রুত ব্যবস্থা চায় চাষিরা’ এমন শিরোনামে দুপুর ১২টার দিকে সময়ের কন্ঠস্বরে সংবাদ প্রকাশ হয়। তারপর বিকেলেই ঐ নকল মৎস্য ওষুধ তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    অভিযানে ওষুধ তৈরির উপকরণ সহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ ও ধ্বংস করা হয়। পাশাপাশি সিলগালা করা হয়েছে নকল ওষুধ তৈরির ওই কারখানা। তবে অভিযানের সময় কারখানার সাথে সম্পৃক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। ঐ গোডাউনের মালিকের উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ডাক্তারের মোড় নামক স্থানে ঘন্টা ব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নওশাদ হাসান।

    জানা যায়, মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুর রহিম নামের দুই ব্যক্তি সংশ্লিষ্টদের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তুলেছিলেন নকল মৎস্য ওষুধ তৈরির কারখানা। সেখানে এভেটা, নাভারা, বাজাজ গ্রুপ, গ্ল্যাক্সো এগ্রোভেট কোম্পানির নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন নকল মৎস্য ওষুধ তৈরির কাজ। ভুয়া ওষুধ তৈরি হলেও ছিল না কোনো যথাযত পদক্ষেপ।

    মোস্তাফিজুর নওগাঁ সদর উপজেলার ডাক্তারের মোড় সংলগ্ন সামসুদ্দীনের নর্থ বেঙ্গল গ্রেইন ইন্ডাস্ট্রিজ লি. অটোরাইস মিলের কাছে মেইন রোড সংলগ্ন একটি গোডাউন ঘর ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন প্রকার মাছের ওষুধ তৈরি করছিলেন। ছিল না কোনো সাইনবোর্ড, বাইরের গেটে তালা দিয়ে ভিতরে চলছিল এসব অপকর্ম। বাইরে থেকে দেখলে পরিত্যক্ত গোডউন ছাড়া আর কিছু মনে হবেনা।

    গোডাউন ঘরের ভেতর শিশুসহ বেশ কয়েকজন কন্টিনার, বস্তার প্যাকেট থেকে ভিন্ন মেডিসিনের সংমিশ্রন তৈরি করছেন। সেখানে নানান পন্যর মোড়ক ও খালি সাদা বোতল রয়েছে। বড়বড় নীল রঙের কন্টিনার ও বিভিন্ন মেডিসিনের বস্তা থেকে ড্রামে ঢালা হচ্ছে এসব মেডিসিন তারপর মিশ্রন ভালোভাবে গুলিয়ে কাকের সাহায্যে ছোট ছোট বোতলে ঢেলে লেভেল লাগিয়ে তা বাজারে ছাড়া হচ্ছিল।

    ফলে এসব ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করায় গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল আসল গ্ল্যাক্সো কোম্পানির বাজারজাত করা ওষুধের। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন বিভিন্ন মৎস্য চাষিরা।

    বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাজানি হলে গ্ল্যাক্সো এগ্রোভেটের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এদিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. বায়েজিদ আলম, গ্যালাক্সো এগ্রোভেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম আহমেদ। সহযোগিতা করেন সদর থানার পুলিশ সদস্যরা।

    এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নওশাদ হাসান বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে অবৈধভাবে নকল মৎস্য ওষুধ তৈরি করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এখানে আসি। যার সত্যতা পাওয়া যায়। নকল ওষুধ তৈরির বিভিন্ন উপকরণসহ অনেক মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া কিছু মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এর সাথে সম্পৃক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এর সাথে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

    সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. বায়েজিদ আলম বলেন, ‘আমরা একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত নিউজ দেখে জানতে পারি নওগাঁয় বিশেষ কায়দায় একটি কোম্পানির মোড়ক নকল করে ভুয়া মেডিসিন তৈরি হচ্ছে। সেই সূত্র ধরে আমরা উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের পরামর্শে ভ্রাম্যমান পরিচালনা করি তাতে সত্যতা পাওয়া যায়। আমরা আইন অনুযায়ী সকর পদক্ষেপ গ্রহন করেছি।’

    এদিকে মোবাইল কোর্টের এই অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন গ্ল্যাক্সো এগ্রোভেট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিম আহমেদ। তিনি বলেন, "সময়ের কন্ঠস্বরে" প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি আমাদের কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে তারা নকল ওষুধ তৈরি করছিল। তাদের কারণে আমাদের কোম্পানির সুনাম নষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রোডাক্টের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগ আসছিল। আমরা কোনো সমাধান পাচ্ছিলাম না। আজ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সেটার সমাধান হলো।

    আরডি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…