চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা–কর্ণফুলী) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনায় উঠে এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের তরুণ নেতা জুবাইরুল আলম জুবাইর। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এনসিপির কেন্দ্র থেকে সারাদেশে ১২৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। সে তালিকায় চট্টগ্রাম-১৩ আসনের জন্য ঘোষণা করা হয় জুবাইরুল আলম মানিকের নাম।
স্থানীয়দের মতে, গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখার মাধ্যমেই জুবাইর রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিচিতি পান। আন্দোলন চলাকালীন তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলের তরুণ ও ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করেছিলেন। তার বক্তব্য, মিটিং-মিছিল ও প্রচারণার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তিনি সারা দেশে আলোচনায় আসেন।
দলীয় কেন্দ্রীয় সূত্র বলছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনার কৌশলেই এনসিপি ইতিবাচকভাবে জুবাইরকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে তার বেশ কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক বৈঠকও হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আনোয়ারা-কর্ণফুলী অঞ্চলের স্থানীয় সূত্র জানায়, শিক্ষিত ও সংগঠিত নেতৃত্বের ধারা নিয়ে মাঠপর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন জুবাইর। তিনি তরুণদের চাকরি, শিক্ষা সহায়তা এবং অসহায় ও দরিদ্র মানুষের জন্য স্বেচ্ছায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। জুলাইয়ের আন্দোলনের পর তার জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়ে।
দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর জুবাইরুল আলম মানিক বলেন, ‘আমি আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়েই রাজনীতি শিখেছি। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান, সব আন্দোলনেই আমি অংশ নিয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও দেশের স্বার্থে কাজ করে গেছি। দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে, তরুণদের নিয়ে নতুন নেতৃত্ব গড়তে চাই।’
তবে একাংশের সমালোচনা রয়েছে যে, তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তুলনামূলক কম। জাতীয় রাজনীতিতে দৃঢ় অবস্থান গড়তে তার আরও সময় প্রয়োজন বলে মত তাঁদের। জবাবে জুবাইর বলেন, ‘অভিজ্ঞতা কম, এ কথা যারা বলেন, তারা গণঅভ্যুত্থানের বাস্তবতা দেখেননি। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়াটাই আমার সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা।’
এসআর