মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত যুব ম্যারাথনে নেতাকর্মীর ঢল নামে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ম্যারাথনটি শুরু হয়।
ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। উদ্বোধনের পূর্বেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হন দলটির বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এতে করে পুরো এলাকা হয়ে উঠে উৎসবমুখর পরিবেশ।
জামায়াত সূত্র জানায়, বিজয় দিবসের এই যুব ম্যারাথনে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক তরুণ অংশ নেন। তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচি রূপ নেয় এক বৃহৎ জনসমাবেশে।
ম্যারাথনটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ও সায়েন্সল্যাব অতিক্রম করে জাতীয় সংসদ ভবনের পাশের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়। পুরো পথজুড়ে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার। সেখানে সমাপনী বক্তব্য দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছর যাবত একটি আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদেরকে স্বাধীনতার সত্যিকারের স্বাদ আস্বাদন করতে দেয়নি। জগজিৎ সিং অরোরার কাছে জেনারেল নিয়াজিকে কেনো আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল সেই ইতিহাস জানার জন্য তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হবার প্রতিশোধ নিতেই ভারত ১৯৭১-এ আমাদের পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল। গোটা জাতি যখন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ গড়ার অভিযাত্রায় সামিল হয়েছিল তখনই ওসমান হাদির ওপর হামলা ভিন্ন বার্তা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা চায় না বাংলাদেশ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের পক্ষকে নির্বাচনে জয়ী করুক তারাই হাদির ওপর হামলার পিছনে দায়ী। আগামী নির্বাচনে আধিপত্যবাদ বিরোধী ইসলামী শক্তিকেই জনগণ নিজেদের ম্যান্ডেট দিয়ে সংসদে পাঠাবে।’
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা ছাড়াও ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তারা যুবসমাজের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বিজয় দিবসকে ঘিরে নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
আয়োজকদের ভাষ্য, এই যুব ম্যারাথনের মাধ্যমে বিজয় দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা এবং দেশের রাজনীতি ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করাই মূল লক্ষ্য।
ইখা