মহান বিজয় দিবসে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে একাধিক সরকারি স্থাপনায় এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে। রাষ্ট্রীয় এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসে দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, দেবীগঞ্জ উপজেলা ডাকবাংলো এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিবসটি উপলক্ষে আলোকসজ্জার কথা থাকলেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সে ধরনের কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অর্জনের স্মরণীয় এই দিনে সরকারি কার্যালয়ে যথাসময়ে জাতীয় পতাকা না ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় সচেতন মহল।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সরাফত আলী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে প্রতিটি বাসা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা দায়িত্বের অংশ। কিন্তু কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান সেই দায়িত্ব পালন করেনি। বিষয়টি দুঃখজনক। তিনি এ ঘটনায় জড়িত দপ্তরগুলোর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
যুদ্ধকালীন কম্পানি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ভুঁইয়া বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কিছু সরকারি দপ্তরে পতাকা উত্তোলনই করা হয়নি। এটি স্পষ্টতই অবহেলার পরিচয়।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে দেবীগঞ্জ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
একইভাবে সরকারি স্থাপনাগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও আলোকসজ্জা না করার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসানের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
এসআর