২০২১ সালের কথা! যমজ বোন জর্জিয়া লরি ও মেলিসা অবকাশ যাপনের জন্য ঘুরতে যান মেক্সিকোতে। অতঃপর সেখানে একটি সৈকতে সাঁতার কাটার সময়
হঠাৎ মেলিসাকে আক্রমণ করে বসে একটি কুমির। কিন্তু তাতে কী! জমজ বোনকে বাঁচাতে মৃত্যুর মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েন জর্জিয়া। ৮০ কেজির দৈত্যাকার কুমিরের সঙ্গে লড়াই শুরু করেন। কুমিরটির মুখে একের পর এক ঘুষি মেরে বাঁচান আদরের বোনকে। সেই সাথে নিজেও আহত হন। পরবর্তীতে দুই বোনই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে মেলিসা ও জর্জিয়া মেক্সিকোর পুয়ের্তো এসকোনদিদোর একটি অগভীর হ্রদে সাঁতার কাটছিলেন। তখন মেলিসাকে একটি কুমির টেনে পানির নিচে নিয়ে যায়। তখন জর্জিয়া হঠাৎ করে দেখতে পান তার বোন অজ্ঞান অবস্থায় এবং উল্টো হয়ে পানিতে ভেসে আছে।
এরপর তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে তার বোনকে নৌকায় উঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে কুমিরটি আবারও আক্রমণ করে বসে। তবে এবার সাহস না হারিয়ে জর্জিয়া, কুমিরটিকে মাথায় একাধিক ঘুষি মারেন এবং তার বোনকে নৌকায় তুলতে সমর্থ হন।তবে এই সময় জর্জিয়া নিজেও বেশ আহত হন। তবে কুমিরের হামলায় মেলিসা এতটাই আহত হয়েছিলেন যে তিনি কোমায় চলে যান। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বেঁচে যান। মেলিসার কব্জিতে বড় ক্ষত হয়। তার পেটে কামড়ের বড় বড় দাগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া তার পা ও পায়ের পাতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপরদিকে কুমিরটি জর্জিয়ার হাতে কামড় দেয়।
জর্জিয়ার এই অসামান্য বীরত্বের জন্য ব্রিটিশ রাজা চার্লসের (তৃতীয়) কাছ থেকে পাবেন মেডেল। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিবিএস নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পদকের খবরটি জানার পর জর্জিয়া বলেছেন, এটি একটি সম্মানের বিষয়। যে মুহূর্তে চিঠিটি পেয়েছি তখন খুব অবাক হয়েছি। এতটা আশা করিনি।
তবে ওই উদ্ধারের জন্য আক্রমণের শিকার মেলিসার সাহসিকতাকেই কৃতিত্ব দেন লরি। দাবি করেন, কুমির আক্রমণ করার পরও মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন মেলিসা।
এবি