জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকাল থেকে এনসিটিবির সামনে অবস্থান নেয় স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামের একটি সংগঠনের শিক্ষার্থীরা। পরে এনসিটিবির সামনে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার নামে বেশ কিছু শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এনসিটিবির সামনে এলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বেলা ১২টার দিকে ‘আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে থাকা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’র ব্যানারে থাকা শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন– সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য), ইসাবা (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী), রেংইয়াং, ধনযেত্রা, শৈলী (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী), দনওয়াই ম্রো (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী), তনিচিরাং ও ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক জুয়েল মার (৩৫)।
এর আগে, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয় এনসিটিবি। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়।
এরপর পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাতিলের প্রতিবাদে নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় বেশ কিছু পাহাড়ি সংগঠন।
এবি