পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় একটি জামে মসজিদের কাবিটা’র (কাজের বিনিময় টাকা) এক লক্ষ টাকার কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে প্রকল্প কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে সরেজমিনে তদন্তে গেলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) উপস্তিতিতে উভয় পক্ষ মধ্যে হামলায় ৩ জন আহত হয়।আহতরা হল প্রকল্প কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আবুল কালাম (৩৫) ও দাউদখালী ইউপির ৯নং ওয়ার্ড সদস্যের ছেলে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম(৩৩) এবং পাঠাকাটা গ্রামের আলী আকনের ছেলে জাহাঙ্গীর (৩৬)। আহত জাহাঙ্গীর প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও কালাম ও রেজাউলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানাগেছে-চলতি-২০২৩-২৪ অর্থ বছরের কাজের বিনিময় টাকা কর্মসূুচির আওতায় উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামের হালিম মাষ্টারের বাড়ের জামে মসজিদ সংস্কারের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন আকন অভিযোগ করেন- ওই মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মজিবর রহমান আমাদের না জানিয়ে তার নিজের ভগ্নিপতি আব্দুল কুদ্দুসকে গোপনে প্রকল্প কমিটির সভাপতি করে কোন কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় আব্দুল বারেক হাওলারের ছেলে সৌদি প্রবাসী ফারুক ও পৌর শহরের ব্যবসায়ী ইসমাইলসহ স্থানীয়দের দেয়া অর্থ দিয়া আমি মুসল্লিদের নিয়ে প্রায় ১৪/১৫ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ করাই। স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান ওই উন্নয়ন কাজ কাবিটার অর্থ দ্বারা কাজ করাচ্ছে বলে প্রচারনা চালায়। এ খবর পেয়ে মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসে গিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দেই।
ইউপি সদস্য মজিবর রহমান টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি প্রকল্প কমিটির সভাপতির মাধ্যমে ওই মসজিদের বরাদ্ধের সব টাকা উত্তোলন করে উন্নয়ন করেছি।
তিনি আরও বলেন গত ইউপি নির্বাচনে আমার কাছে পরাজিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বপন আকন গত নির্বাচনী বিরোধের জের ধরে আমার ছেলে ও ভাইগনার ওপর পরিকল্পিত হামলা করেছে।
প্রকল্প কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিলন তালুকদার বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বুধবার সরেজমিনে গেলে তার উপস্তিতিতে উভয় পক্ষ হামলায় জড়িয়ে পড়েন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মসজিদের টাকা আত্মসাত নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে মৌখিক ভাবে শুনেছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমআর