'খাদ্য, ভূমি, জল, ও জলবায়ু ধ্বংসের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবির সঙ্গে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তরের' দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। এছাড়াও উপকূলের কৃষক ও জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করা হয়।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ'র সহযোগিতায় এবং পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন'র বাস্তবায়নে সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা বাজারে প্রধান অতিথি ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত হোসেন, সভাপতিত্ব করেন জয়নাল সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন। এ সময় উপকূলের দুই শতাধিক মৎস্যজীবী, কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলে মৎস্য এবং কৃষিতে প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন, এছাড়াও টেকশই বেড়িবাঁধ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় প্রণোদনা, চালের পরিমাণ বৃদ্ধি, নগদ সহায়তা, জেলে তালিকা হালনাগাদ, কৃষকদের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তন কি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কি তার ধারনা হয়নি। এ ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা জলবায়ু পরিবর্তনে দায়ি তাদের কাছেই আমরা ক্ষতিপূরণ চাই। জমি, খাদ্য ও পানি মানুষের জন্য, এটা মুনাফার জন্য নয়। ভূমি, জল ও জলবায়ু ধ্বংসে যারা মেতেছেন তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। এখন উপকূলবাসির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে নানা ক্ষতি হয়। এর মধ্যে বেশি হচ্ছে আবাসন, মৎস্য, কৃষি সহ মানুষের শরীর। জলবায়ু পরিবর্তনে প্রকৃতির চেয়ে মানুষের দায়ভার বেশি। এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। জলবায়ু ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাও রক্ষা করতে হবে।
এবি