চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় মোবাইলে কল দিয়ে চাঁদা দাবি এবং টাকা না পেলে দোকানে বিস্ফোরণ ঘটানো এবং দোকানিকে হত্যার হুমকি দেওয়া চলছেই। সর্বশেষ মোবাইলে কল দিয়ে চাঁদা চাওয়ার পর না পেয়ে উপজেলার কেরানীহাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জুনাইদের দোকানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দুই সপ্তাহ ধরে চলা এ অপতৎপরতা বন্ধে পুলিশের দৃশ্যমান ভূমিকা না থাকায় স্থানীয় জনমনে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
কেরানীহাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জুনাইদ অভিযোগ করে বলেন, আমার নম্বার কল দিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে দোকানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা দিইনি বলে দোকানে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুনে ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁর। আগুন লাগার পর একই ব্যক্তি আবার ফোন দিয়ে বলেছে, চাঁদা না দেওয়ায় দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কেবল জুনাইদ নয়, কেরানীহাটের অন্তত ২০ দোকানিকে মোবাইলে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ১৩ জন এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত এসব অভিযোগ ও জিডি করা হয়।
ব্যবসায়ী নেতারা জানান, গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে দুটি ফোন নম্বর থেকে দোকানিদের কল করে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা দাবি করা ব্যক্তি নিজেকে ‘এলাকার বাদশাহ’ পরিচয় দেয়। চাঁদা না দিলে দোকানে আগুন দেওয়া ও দোকানিদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম বলেন, এ পর্যন্ত ২০ দোকানিকে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। দোকানীরা এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ ও জিডি করার পরও প্রশাসন কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখেনি।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান বলেন, ফোন করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগ পাওয়ার পর অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তিদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এইচএ