এইমাত্র
  • ২৪ নভেম্বর সব পাকিস্তানিকে বেরিয়ে আসার আহ্বান ইমরান খানের
  • ‘সবাই হাসেন আর আনন্দ করেন’, আদালত চত্বরে ইনু
  • ময়নাতদন্তে লাশ তুলতে অনিহা, নিহতের মামলার বাদী কে জানেন না পরিবার
  • কুমিল্লায় ফসলি জমি থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
  • শাকিব ভাইয়ের মতো আমারও অনেক দর্শক আছে: তানজিন তিশা
  • ক্ষমতায় গেলে শহীদদের নামে প্রতিষ্ঠানের নামকরণের প্রস্তাব করবে বিএনপি
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনে থাকছে না রাজনৈতিক বিবেচনা
  • এস আলমের শেয়ার বেচে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায় করবে ইসলামী ব্যাংক
  • সিরাজদিখানে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
  • আমাকে গান গাইতে দিলে তাদের কী ক্ষতি হতো: বেবী নাজনীন
  • আজ সোমবার, ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    বেলকুচিতে রাসেল হত্যা: একমাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

    বেলকুচিতে রাসেল হত্যা: একমাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

    উজ্জ্বল অধিকারী, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

    সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে রাসেল হোসেন (৩০) হত্যার একমাসে পেড়িয়ে গেলেও এখনো এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে ভুক্তোভোগী স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    এদিকে রাসেল হত্যার ঘটনায় ও আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে বেলকুচি থানার সামনে ভুক্তোভোগীর স্বজন ও গাড়ামাসি গ্রামের কয়েকশত নারী পুরুষ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। উক্ত মানববন্ধনে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

    চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর সকালে ঢাকার আশুলিয়ার উত্তর গাজীরচট এলাকার একটি ভবনের ৩য় তলা থেকে কোপানো ও রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রাসেল হোসেন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার গারামাসি এলাকার বাবুল সরকারের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাসেল সরকারের বাবা বাবুল সরকার পাঁচ জনকে আসামিকে করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার একমাসের পেরিয়ে গেলেও আসামি ধরা ছোয়ার বাইরে থাকায় তাদের মধ্যে চরম হতাশা কাজ করছে।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত রাসেলের ছোট ভাই মাসুদ রানাকে চাকরি দেওয়ার জন্য মতিনকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু মতিন চাকুরির ব্যবস্থা না করে অনেকদিন ধরে পলাতক থাকেন। রাসেলের পাওনা টাকা না দেওয়ার টালবাহানা করতে থাকে। পরে মতিনকে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হলে রাসেলকে ঢাকায় আসতে বলে। পরে মতিনের কথা বিশ্বাস করে রাসেল একাই ঢাকায় চলে আসে। তিন দিন একটা রুমে রাসেল ও মতিন মিলে থাকে এবং মতিনের লোক টাকা নিয়ে আসবে বলে অপেক্ষা করতে থাকে। ঘটনার দিন সকালে রাসেল ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালে মতিন চাকু দিয়ে তার মাথায় কুপিয়ে আঘাত করলে রাসেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে রাসেলের খালু শহিদুল সকাল ৬টার দিকে রুমে ঢুকতে গেলে তাকেও আঘাত করে পালিয়ে যায় মতিন।

    পরে আশুলিয়া থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য ঢাকা সোহরায়ার্দী মেডিকেল কলেজে পাঠায়। এ ঘটনায় আহত শহিদুলকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।

    এব্যাপারে নিহত রাসেলের বাবা বাবলু সরকার বলেন, ছেলে রাসেলের সাথে মতিনের বন্ধত্বপুর্ণ সর্ম্পক ছিলো। মতিন প্রায়ই রাসেলের সাথে আমাদের বাসায় আসতো একটি বিশ্বাস্থপূর্ন ভালো সর্ম্পক গড়ে তোলে। তার নাকি উপর লেভেলে অনেক বড় বড় লোক আছে চাকরি দেয়ার জন্য। এই সুযোগে আমার ছোট ছেলেকে সরকারি চাকরি লোভ দেখিয়ে প্রায় ছয় লাখের বেশি টাকা নেয়। কিন্তু প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও সে কোন চাকরি দিতে পারে না।

    মতিনের কাছে তেকে পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে আজ না কাল পরশু করে অনেকদিন যাবত ঘুরায়। তাকে টাকার জন্য অতিরিক্ত চাপ দিলে সে রাসেলকে ঢাকা আসতে বলে। তার কথা মতো রাসেল ঢাকা গেলে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

    এ বিষয়ে নিহত রাসেলের ছোট ভাই মাসুদ বলেন, আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে এক পর্যন্ত কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। কিন্তু কি কারণে আসলে আসামি গ্রেফতার হচ্ছে না সেটা কিছুই বোঝা যাচ্ছেনা। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।

    এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকেরিয়া হোসেন বলেন, এ হত্যাকাণ্ড যেহেতু ঢাকার আশুলিয়া থানায় হয়েছে মামলাও হয়েছে সেই থানায়। আশুলিয়া থানা থেকে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু কাগজপত্র আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেগুলো তদন্ত করছি। তার বিষয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…