দেশের উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার তীব্রতা। মধ্য রাত থেকে পরদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে বিস্তীর্ণ উত্তরের জনপদ।
এ সময় সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে ট্রাক ও মোটরসাইকেল পরিবহন। বিশেষ করে অটোরিকশা চালক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। সোমবার উপজেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা থাকায় যানবাহনগুলো দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে। কুয়াশার সাথে ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। ফলে বয়স্ক ও শিশুদের মাঝে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা এলাকার শৈলেন চন্দ্র রায় বলেন, কয়েকদিন থেকে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে। সাথে ঠান্ডাও অনেক অনুভূত হচ্ছে। বর্তমানে যে কুয়াশা দেখছি, পৌষ মাঘ মাসে বুঝি ঘর হতে বের হওয়া যাবে না।
ওই এলাকার ভ্যান চালক হাক্কু মিয়া বলেন, দিন যতই যাচ্ছে কুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েই চলছে। সকালে গাড়ি নিয়ে বের হলে ঘন কুয়াশা পড়ে শরীরের গরম কাপড় ভিজে যায়। এছাড়া সকালে কুয়াশার কারণে রাস্তা দেখা যায় না। মানুষের চলাচল কম থাকলে আয় করি কেমনে। আমাদের খুব সমস্যা হয়েছে।
একই এলাকার কৃষক আব্দুর রশীদ জানান, ঘনকুয়াশা জন্য জমিতে কাজ করা বিলম্ব হয়। শীতে গায়ের কাপড় চোপড় ভিজে যায়। এখনে যে শীত পড়ছে। মনে এ বছর শীত ও ঠান্ডার তীব্রতা অনেক বেশি হবে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭-২১ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠা-নামা করছে। তবে নভেম্বরের শেষে অথবা ডিসেম্বরের শুরুতে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এআই