১৩৭ বছরের টাঙ্গাইল পৌরসভার ৫ ওয়ার্ডবাসির যাতায়াতে ব্যবহার করতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। দৈনিক এই বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হচ্ছে প্রায় সহস্রাধিক শিশু, কিশোর, কিশোরীসহ নানা বয়সী জনসাধারণ। তবে এরপরও আশ্বাস আশ্বাসেই ঝুলে আছে স্বপ্নের ব্রীজ। ব্রীজের দাবি পূরণে শনিবার(২৩ নভেম্বর) মাত্র ৬ ঘন্টায় গণস্বাক্ষর দিয়েছেন ১হাজার মানুষ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌরশহরের বেবীস্ট্যান্ড থেকে দিঘুলিয়া জামতলা সড়কের মাঝখানে লৌহজং নদীর উপর স্টীলের ব্রীজ নির্মাণের দাবিতে বাঁশের সাঁকো এলাকায় মানববন্ধনে করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী
ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান খলিল, ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজিবর রহমান, ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ঠান্ডু মিয়া ও ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিজ উদ্দিন। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শতবর্ষী ও প্রথম শ্রেণীর টাঙ্গাইল পৌরসভার বাসিন্দা হওয়া সত্বেও চরম অবহেলিত আমরা ৪.৫.৬.৭ ও ১১ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বড় ব্রীজ নির্মাণ হলেও ৫টি ওয়ার্ডের সীমান্ত এলাকা হওয়ায় আমাদের ভরসা শুধু বাঁশের সাঁকো।
দফায় দফায় পৌরসভায় তৎকালীন মেয়র ও বর্তমান প্রশাসক দায়িত্ব নেয়াসহ আমাদের চলাচলের জন্য ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিলেও সেটি আর পূরণ হয়নি। ব্রীজ না থাকায় পৌরসভার এই পাঁচটি ওয়ার্ডসহ পাশর্বর্তী দাইন্যা ও বাঘিল ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতে হচ্ছে চরম সমস্যা। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ বয়ঃবৃদ্ধদের যাতায়াত হয়েছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। মাঝে মাঝে সাঁকো থেকে পরে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন নানা বয়সীরা।
সম্প্রতি পলাতক মেয়র এস.এম.সিরাজুল হক আলমগীর সদ্য নির্মিত বেড়াডোমা ব্রীজের স্থলে থাকা বেইলী ব্রীজটি এই স্থানে স্থানান্তর করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। উনি পলাতক হওয়ায় সে আশ্বাসও বাস্তবায়ন হয়নি। জনদূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত বেবীস্ট্যান্ড থেকে দিঘুলিয়া জামতলা সড়কের মাঝখানে লৌহজং নদীর উপর স্টীলের ব্রীজ নির্মাণে পৌর প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। গুরুত্ব যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক (উপ-সচিব) মো. সিহাব রায়হান।
এমআর