অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এই সংগঠনের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লেবাননে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে তারা বিষয়টিকে স্বাগত জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা মিশর, কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছি যে হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং বন্দি বিনিময়ের জন্য একটি গুরুতর চুক্তির বিষয়ে প্রস্তুত রয়েছে। তবে এ ধরনের চুক্তিতে ইসরায়েল বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়েছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তিনি এ ঘোষণা দেন। লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এই চুক্তিকে সমর্থন করেন।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর লেবাননের বাসিন্দারা এখন তাদের বাড়ি ফিরে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করলে ইসরায়েল ফের হামলা চালাবে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলোর বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে অন্যতম শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহ উভয়ই ৬০ দিনের জন্য দক্ষিণ লেবানন থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করবে।
হিজবুল্লাহ সীমান্তের প্রায় ১৯ মাইল উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে থাকবে। দক্ষিণে তাদের কোনো অবস্থান থাকবে না। সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠী বলতে কেবল লেবাননের সেনাবাহিনী ও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা অবস্থান করতে পারবেন।
যুদ্ধবিরতির সময়কালের বিষয়ে নেতানিয়াহু বলেন, লেবাননে কী ঘটে তার ওপর নির্ভর করবে এর সময়।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবানেনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের খবরকে স্বাগত জানায় তেহরান।
এবি