কিশোরগঞ্জের নিকলীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার সমাধানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) উপজেলার পূর্বগ্রাম এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলীর সন্তান মো. রেজাউল হাসান সাক্ষরিত একটি অভিযোগ ডাকযোগে প্রেরণ করেন। এতে আরও ৩১জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাক্ষর সংযুক্ত রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত ২০০১ সনে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্ধকৃত বাংলাদেশ সরকারের খাস জমি তারা ২০০১ সন থেকে ভোগ দখল করে আসছেন। এসব জমি ২০০০-২০২১ সনের অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিসিআর মূলে দেওয়া হয় সাথে একটি রেজুলেশনও দেওয়া হয়।
এ পর্যন্ত কোন দিন কোন নেতা বা কোন দলের কর্মী এসব জমির ব্যাপারে কোন প্রকার আপত্তি করেনি। কিন্তু গত (০৫ আগস্ট) এর পর নজর পড়ে কিছু ভূমিদস্যুদের। এবং গত রবিবার (১ জানুয়ারি) কিছু আওয়ামীলীগ নামদারি বিএনপি সেজে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে প্রাপ্ত জমিতে জোর পূর্বক দখলে নিয়ে যায়।
এর মধ্যে নিকলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বদরুল মোমেন মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. মানিক মিয়া, সদস্য ডাঃ কফিল উদ্দিন আহম্মদের নির্দেশে- উপজেলার পূর্বগ্রাম বাজারহাটি এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে রুহুল, মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে দেওয়ান, পূর্ব গ্রাম পূর্বহাটির মৃত এজেএম সিদ্দিকের ছেলে মাফুজুল রহমান, পূর্বগ্রাম সর্দারহাটি এলাকার মৃত সাহেদ আলীর ছেলে আঃ করিম, পূর্বগ্রাম জঙ্গিলহাটি এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে আল আমিন, পূর্বগ্রাম দরগাহাটি এলাকার মৃত সোনালীর ছেলের আছমত আলী, পূর্বগ্রাম কোনাবাড়ি এলাকার মৃত সুভার ছেলে আনজু, পূর্বগ্রাম বাজারহাটি এলাকার মৃত সফি উদ্দিননের ছেলে জয়নাল তাদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের জমিতে দখল করে নেয় এবং সকল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে জমীতে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা বা কেউ জমিতে যায় তাকেই খুন করবে বলেও হুমকি দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা নাকি রাজাকার সেই স্লোগান দিয়ে জমিতে কুটি স্থাপন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এ অভিযোগের অনুলিপি বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও অতিরিক্ত দায়িত্ব দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. রুহুল কবির রিজবী আহম্মেদ, ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক হাবিব উন নবী খান সোহেল, জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ও কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করেন।
অভিযোগকারী বলেন, আমরা নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি, আমাদের নিরাপত্তা এবং বরাদ্দকৃত জমি উদ্ধারে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এমআর