মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ভাষণ দেন তিনি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মাহমুদ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সালামা দাউদ তাকে স্বাগত জানান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার কায়রোতে ডি-৮ সম্মেলনে আয়োজিত এক বিশেষ অধিবেশনে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, আমরা এমন এক সময়ে এখানে সমবেত হয়েছি— যখন অধিকৃত গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও ১৪ মাস ধরে চলা নৃশংস গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফিলিস্তিনিরা অবহেলিত জাতি নয়, প্রতিটি ফিলিস্তিনিদের জীবন মূল্যবান। আমাদের অবশ্যই ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের ইতিহাসের এই অস্তিত্বের সময়ে আমাদের ঐক্য এবং অবিচল অঙ্গীকার কায়রো থেকে প্রকাশ করতে হবে।
১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ইতিহাসজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। আমরা ধারাবাহিকভাবে ইসরায়েল পরিচালিত অবৈধ দখলদারিত্ব এবং সহিংস দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা করেছি। আমরা এই সংকটের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের পক্ষে অবিচল রয়েছি।
ড. ইউনূস বলেন, গাজা, পশ্চিম তীর ও লেবাননের গণহত্যা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল। এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে ফিলিস্তিনকে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন ও কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে।
এসএফ